সংক্ষিপ্ত

বাড়িতে থেকে কাজ করতে গিয়ে কোনও কিছুরই হিসেব রাখছেন না অনেকেই। না সময়ের হিসেব না ঘুমের হিসেব। আর এতেই ডেকে আনছেন বড় বিপদ। বাড়িতে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। করোনার নানা খবর নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম আসছে না। একদিকে বাড়ির কাজ অন্যদিকে অফিসের কাজ সামলাতে গিয়ে শারীরিক পরিশ্রম বেশি পড়ছে, আর তার প্রভাব পড়ছে ঘুমের উপর। কাজের সময়ের বাইরে সমস্ত দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে নিজের একটি রুটিন বানিয়ে ফেলুন। সেই রুটিনের মধ্যেই নিজের ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন।তবে দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম একেবারেই নয়, রাতে ঠিক সময়ে ঘুম যেন হয় সেইদিকে খেয়াল রাখুন।  

 

বাড়িতে থেকে কাজ করতে গিয়ে কোনও কিছুরই হিসেব রাখছেন না অনেকেই। না সময়ের হিসেব না ঘুমের হিসেব। আর এতেই ডেকে আনছেন বড় বিপদ। বাড়িতে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। করোনার নানা খবর নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম আসছে না। একদিকে বাড়ির কাজ অন্যদিকে অফিসের কাজ সামলাতে গিয়ে শারীরিক পরিশ্রম বেশি পড়ছে, আর তার প্রভাব পড়ছে ঘুমের উপর। কাজের সময়ের বাইরে সমস্ত দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে নিজের একটি রুটিন বানিয়ে ফেলুন। সেই রুটিনের মধ্যেই নিজের ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন।তবে দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম একেবারেই নয়, রাতে ঠিক সময়ে ঘুম যেন হয় সেইদিকে খেয়াল রাখুন।  

 যারা বাড়িতে বসে ঘরের কাজ করছেন তাদের এক সমস্যা আবার যারা বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করছেন তাদের অন্য সমস্যা। করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে বেশিরভাগ অফিসই কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর নির্দেশ দিয়েছেন। মহামারি রুখতেই এই প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ গোটা দেশে চালু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। কিন্তু একটানা বাড়িতে বসে কাজ করলে শরীরের যেমন ক্ষতি তেমনই বড় বিপদ আসতে চলেছে আপনার সামনে। কাজের প্রয়োজনে হোক কিংবা টাইমপাস। সারাক্ষণই মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে ব্যস্ত ছোট থেকে বড়রা। ডিজিট্যাল মাধ্যমে আপডেট থাকাই যেন নতুন প্রজন্মের কাছে হাল ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ক্লাস থেকে শুরু করে অফিস সবটাই অনলাইনে চলছে বর্তমানে। বলতে গেলে দিনের অর্ধেকটা সময়ই কেটে যাচ্ছে  ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে। যত দিন যাচ্ছে,  তত মানুষ যেন মেশিনে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। সারাদিনের ২৪ ঘন্টা যেন কম হয়ে যাচ্ছে প্রতিটা মানুষের জন্য। সারাদিনতো আছেই, এর পাশাপাশি রাতের ঘুমোনোর সময়েও বাড়েছে মোবাইল ঘাটার প্রবণতা। যতক্ষণ ঘুম আসছে না ততক্ষণই চলতে থাকে ফেসবুক,হোয়াটসঅ্যাপও এছাড়া আরও নানা সাইটে চোখ বোলানো।  যা চরম ক্ষতি করছে শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্ক ও চোখের।


বাড়িতে একটানা বসে কাজ করাটাও ভাল লক্ষণ নয়, তাই সময় করে একটু হাটাহাটি করে নিন। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ঘুম ভাল নয়। ভাল ঘুম হলেও শরীরও ভাল থাকবে। যারা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন তাদের মধ্যে এই না ঘুমানোর প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ১০ জনের মধ্যে ৭ জনই এই না ঘুম হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। যারা এই বাড়ি থেকে কাজ করছেন , তারা হাজারো কাজের মধ্যেও নিজের ঘুমের সময় বার করে নিন আলাদা করে। ল্যাপটপ নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা বিছানায় বসে কাজ না করার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে কাজের জায়গাটি আলাদা করাই সবথেকে ভাল। ঘুমের সময় অফিস ভুলে রিল্যাক্স করুন। ঘুমানোর আগে হালকা ব্যায়াম করেও নিতে পারেন এতেও ঘুম ভাল আসবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয হল ঘুমের সময় মোবাইলটা সবার আগে দূরে রাখুন।