সংক্ষিপ্ত

এই শাক খেলে কিডনিতে পাথর হয় না। এটি দাঁতের ব্যথায় আরাম দেয় এবং মাড়ির ফোলাভাব কমাতে উপকারী। এর ব্যবহারে কাশিতে আরাম পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, পেটে কৃমি থাকলে এর রস পান করলে কৃমি মারা যায়।
 

ভারতীয় রান্নার নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা এই শিল্প বিভিন্ন ধরনের খাবারের মাধ্যমে নিজস্ব স্থান তৈরি করেছে, যার পরিচয় ও স্বাদ চিরকাল স্মরণীয় হওয়ার পাশাপাশি শেষ হবে না। কথিত আছে, মানুষের হৃদপিণ্ডের পথ পাকস্থলী দিয়ে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল বিভিন্ন খাবারে পরিপূর্ণ। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত, লোকেরা কীভাবে একই খাবার বিভিন্ন উপায়ে তৈরি করতে জানে। শুধু তাই নয়, এটি বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে পরিচিত। 
আমাদের দেশে আলু, বাঁধাকপি, টমেটো, মটর ইত্যাদি চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং এগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। একইভাবে, বেথো শাকও এখানে ভাল পরিমাণে পাওয়া যায়। যা দিয়ে শুধু অনেক ধরনের খাবারই তৈরি করা যায় না, সব ঔষধি গুণেও ভরপুর। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এটি পাওয়া যায়। এটি দিয়ে শাক, পরোটা, মসুর ডাল ইত্যাদিতে রেখে সব ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। বেথো শাক শুধু ভারতেই নয় বিশ্বের অনেক দেশেই পাওয়া যায়। যদিও এটি সবার পছন্দ হবে এমন নয়, তবে এতে থাকা বৈশিষ্ট্যের কারণে সবারই এটি খাওয়া উচিত।

বেথো শাকে বিদ্যমান ঔষধি গুণাবলী:
বেথো শাকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ফসফরাস, পটাসিয়াম ইত্যাদি পাওয়া যায়। এতে আয়রন এবং অক্সালিক অ্যাসিডও পাওয়া যায়।

বেথো শাক খাওয়ার উপকারিতা:
এই শাক খেলে কিডনিতে পাথর হয় না। এটি দাঁতের ব্যথায় আরাম দেয় এবং মাড়ির ফোলাভাব কমাতে উপকারী। এর ব্যবহারে কাশিতে আরাম পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, পেটে কৃমি থাকলে এর রস পান করলে কৃমি মারা যায়।
বেথো শাকে পাওয়া কেরিডলের কারণে অন্ত্রের কৃমি এবং অ্যাসকারিসও নির্মূল করা যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে এর পাতা ব্যবহার করলে উপশম পাওয়া যায়। লিউকোরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য এর ব্যবহার উপকারী। এছাড়াও এর সেবনে ডায়রিয়া, আমাশয়, হ্যালিটোসিস, জয়েন্টের ব্যথায় উপশম হয়।