সংক্ষিপ্ত

দ্রুত সন্তান ধারণকে কার্যে পরিণত করতে চাইলে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। কিছু দম্পতি রয়েছেন যারা ধীরে সুস্থে সন্তান নেওয়ার দিকে এগোন। কিন্তু, কিছু দম্পতি রয়েছেন যে তাদের অতি দ্রুত সন্তানের মা-বাবা হতে হবে। এমন ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করাটা দরকার। কারণ, সন্তান ধারণে যে বায়োলজিক্যাল ফ্যাক্টরগুলো জড়িয়ে থাকে তাতে কোনও খামতি না রাখাটাই আবশ্যক। 

শিশু একটা পরিবারের আশার আলো। ভালোবাসার পূর্ণতা যেমন সম্পর্কর স্থায়ীত্বে, তেমনি সম্পর্কের বৃত্তকে পূর্ণ করে সন্তান। অনেকেই মনে করেন যৌন সম্পর্ক স্থাপন বা যাকে ইংরাজিতে ইন্টারকোর্স বা লাভ মেকিং বলে অথবা সেক্সুয়াল রিলেশন তৈরি করা- তার মাধ্যমেই গর্ভধারণের কাজটা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। আসলে একটা সত্য। কিন্তু এই সত্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এমন কিছু দিক যার দিকে অনেক সময় আমরা তাকাই না, আর কার্যক্ষেত্রে গর্ভধারনের সেগুলো হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ। তাই দ্রুত বাচ্চা চাইলে হবে না, বাচ্চার জন্য গর্ভধারণ প্রথম পর্যায়। এই গর্ভধারণকে নিশ্চিত করতে গেলে বীর্যের বা স্পামের সঙ্গে ডিম্বাশয়ের মিলনকে শক্তিশালী করতে হবে। যার ফলে ভ্রুণ শক্তিশালী হবে। আর এর জন্য একটা সুস্থ এবং সবল শিশু-র জন্ম হওয়া সম্ভব হয়ে উঠবে। 

একটা হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চলতে হবে
একটা সুস্থ-সবল জীবনশৈলী মেনে চলার চেষ্টা করুন। কারণ এটা প্রাথমিকভাবে একজনকে নিশ্চিত করবে তাঁর দ্রুত গর্ভ ধারণের ক্ষেত্রকে। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে গর্ভধারণের সময় শরীরের অনেক ধরনের পরিবর্তন হয়। এর বেশিরভাগটাই হরমোন জনিত বিষয়। তাই সুস্থ-সবল জীবনশৈলী গর্ভধারণের এই সমস্যাকে ভালো করে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। তাই দ্রুত গর্ভধারণের ইচ্ছে থাকলে একটু নিয়ন্ত্রিত এবং হেলদি লাইফ-স্টাইলের রুটিনকে অনুসরণ করতে হবে। 

চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিন
একজন চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন। কারণ আপনার শারীরিক পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং তা গর্ভধারণের পক্ষে কতটা সহায়ক তা একজন চিকিৎসকই বলতে পারেন। এমনকী কোনও ওষুধ যদি খেয়ে থাকেন নিয়মিত, তা গর্ভধারণের পক্ষে বাধা হবে কি না তা জেনে নেওয়াটা দরকার। এর ফলে গর্ভধারণের সময় যদি অহেতুক শারীরিক সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। 

দন্ত চিকিৎসকের পরার্শ নিন
দাঁতের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে ভুলবেন না। কারণ একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন যে দাঁতের কোনও সমস্যা আপনার গর্ভধারণে প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রাখে। কারণ এর জন্য অনেক সময় সন্তান কম ওজনের এবং প্রিম্যাচিওর হয়ে জন্ম নিতে পারে। দাঁতের গাম সমস্যায় গর্ভধারণ অনেক সময় সমস্যায় পড়ে। দাঁতের চিকিৎসক আপনার শারীরিক সুরক্ষা এবং হেলথ ও হাইজিনকে নিশ্চিত করতে সাহায্য করার ক্ষমতা রাখেন। 

শরীর চর্চা করুন  তবে নিয়ন্ত্রণ রেখে 
শারীরিক কসরত শরীরের মেটাবলিজমকে সচল করে তোলে এবং ওবেসিটিকে দূরে সরায়। শরীরের রক্ত সঞ্চালনা ঠিক ঠাক হয় বলে প্রচুর এনার্জি পাওয়া যায়। এর ফলে মন এবং শরীর একটা সুস্থ বোধ করে। এটা শরীর এবং মনের নমনীয়তাকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে, শরীর চর্চার মানে এটা নয় যে মাত্রারিক্ত তা করতে থাকবেন। মাত্রাতিরিক্ত শরীর চর্চা আপনাকে ক্লান্ত করে তুলবে এবং গর্ভধারণের পক্ষে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে।  

একটা সুস্থ-সবল শারীরিক ওজন বজায় রাখুন 
একটা স্বাস্থ্য সম্মত শারীরিক ওজন দ্রুত গর্ভধারনের বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত শারীরিক ওজনে গর্ভধারণের সময় নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এতে গর্ভধারণ  খুব বাজে ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। কিন্তু, তার বদলে যদি একটা স্বাস্থ্য সম্মত ওজন বজায় রাখা যায় তাহলে গর্ভবতীর শারীরিক পরিস্থিতে তা সহায়ক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ওবেসিটি যা গর্ভধারণের পক্ষে একটা বড় শত্রু তাকে অনকখানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে অপেক্ষাকৃত কম শারীরিক ওজনের মানুষজন। 

আরও পড়ুন- গর্ভাবস্থাকে ঘিরে রয়েছে একাধিক ভুল ধারণা, জেনে নিন কোনটা মেনে চলবেন, কোনটা নয়
আরও পড়ুন- পুত্র সন্তান পেতে একটা অণ্ডকোষ কেটে ফেলত পুরুষরা! আদৌ কতটা বিজ্ঞানসম্মত এই প্রথা
আরও পড়ুন- দ্বিতীয় সন্তান নিতে গেলে শারীরিকভাবে কতটা ফিট থাকা জরুরি জানেন? উপায় বাতলালেন নুসরত