সংক্ষিপ্ত
- করোনায় জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি ভারতে
- যদিও বহু সংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন
- পাশাপাশি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা
- বর্ষা মৌসুমে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পারে
করোনায় জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি ভারতে। যদিও বহু সংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মহামারির এই সংকটের মাঝে আইআইটি বোম্বে-এর গবেষকরা একটি গবেষণা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। আইআইটি বোম্বে-এর গবেষকদের দাবী, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পারে। ভয়াবহ হতে পারে পরিস্থিতি। আইআইটি বোম্বাইয়ের অধ্যাপক অমিত আগরওয়াল এবং রজনীশ ভরদ্বজের মতে, এর মূল কারণ হ'ল আর্দ্র মৌসুমী মরসুম, অন্যদিকে করোনার ভাইরাস শুষ্ক ও গরম আবহাওয়ায় স্বল্প স্থায়ী। গবেষক করোনার জীবনচক্রটি এক রোগী থেকে অন্য রোগীর মধ্যে করোনার জীবন চক্রের বিষয়ে গবেষণা করে এই অনুমান করা হয়েছে।
গবেষক রজনীশ ভরদ্বজ জানিয়েছেন, যেহেতু কাশি এবং হাঁচি মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবণতা বেশি। তবে তীব্র আবহাওয়ায় ফলে এই ভাইরাসগুলি শুকিয়ে যায় এবং তাত্ক্ষণিকভাবে মারা যায়। গবেষণার দ্বিতীয় অধ্যাপক অমিত আগরওয়াল বলেছেন যে, গরম আবহাওয়ায় ড্রপলেটসগুলি তত্ক্ষণাত বাষ্প হয়ে শুকিয়ে যায়, তাই ঝুঁকির হার কম। তবে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সায়েন্সেস (আইসিএমআর) এবং এইমস উভয়ই এ জাতীয় গবেষণাকে সমর্থন করেনি।
যদি এই তত্ত্বটি সত্য প্রমাণিত হয় তবে মুম্বাইয়ের মতো অঞ্চলে বিশাল ক্ষতি হতে পারে। কারণ প্রতি বছর মুম্বইতে বর্ষাকালে বৃষ্টির ফলে বিপর্যয় দেখা দেয়। মুম্বইয়ের আবহাওয়াও সাধারণত আর্দ্র হিসাবে পরিচিত। এদিকে মহারাষ্ট্রের করোনা দেশের সেই রাজ্যগুলির মধ্যে একটি যেখানে করোনার খুব দ্রুত বিস্তার ঘটেছে এবং গত দশ দিনে এই প্রবণতা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ৯৭ হাজারেরও বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে তিন হাজারেরও বেশি সংক্রমিত হওয়ার তথ্য মিলেছে। একই সঙ্গে দেশে জুড়ে এই সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ ছুঁতে চলেছে।