মোদার্না এমআরএনএ -১২৭৩ এর হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হচ্ছে করোনার ক্ষতিগ্রস্থদের ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারবে কিনা মে মাসে দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল হয়েছিল যা বেশ সাফল্য পেয়েছিল তৃতীয় পর্বের টেস্টে এটি ৩০,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর করা হচ্ছে

আমেরিকান ফার্মা সংস্থা মোদার্না ২৭ জুলাই থেকে ভ্যাকসিনের এমআরএনএ -১২৭৩ এর হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করবে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার সময় দেখা যাবে যে ভ্যাকসিনটি বিশ্বব্যাপী করোনার ক্ষতিগ্রস্থদের ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারবে কিনা। সংস্থাটি মে মাসে দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল করেছিল যা বেশ সাফল্য পেয়েছিল। এর আগেই সব কটি ট্রায়ালে কোভিড১৯ এর বিরুদ্ধে কার্যকর ও নিরাপদ হিসেবেই প্রমানিত হয়েছে এই টিকা।

স্বেচ্ছাসেবীদের উপর এর প্রয়োগ-

মোদার্না-এর সিইও স্টিফেন বেনসেলের মতে, ভ্যাকসিনের প্রথম পর্বটি আমাদের পরবর্তী পর্বের জন্য প্রস্তুত হতে উত্সাহিত করেছে। আমরা আশ্বস্ত করছি যে তৃতীয় পর্বের পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে আমরা বিশ্বব্যাপি এই মহামারীর মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারবো। সংস্থার মতে, তৃতীয় ধাপে যোগদানকারী ৩০,০০০ স্বেচ্ছাসেবীদের দুইভাগে বিভক্ত করে চলবে এই হিউম্যান ট্রায়াল। ৫০ শতাংশ লোককে এই টিকার ১০০ মাইক্রোগ্রাম ডোজ দেওয়া হবে। একই সময়ে, অন্যান্য ৫০ শতাংশকে সাধারণ চিকিত্সা দেওয়া হবে। 

মোদার্নার গবেষকরা দাবি করেছেন করোনা ভাইরাসের জেনেটিক কোড কাজে লাগিয়েই এমআরএনএ -১২৭৩ ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে। এই ওষুধ করোনা ভাইরাসকে ধ্বংস করতে সক্ষম না হলেও শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হবে। এই ওষুধের মাঝারি ক্ষমতার ডোজেই সবচেয়ে ভাল ফল মিলেছে। এমনকী বহুগুণ শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম এই প্রতিষেধক, এমনটাই দাবী করেছেন গবেষকরা। 

সংস্থার মতে, এমআরএনএ -১২৭৩ নামে এই ভ্যাকসিন দেওয়া রোগীর শরীরে সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে এবং ভ্যাকসিনের প্রভাবটি নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। সংস্থার তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে এই টিকার প্রথম দুই দফায় ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল। যার ফলে এদের প্রত্যেকের শরীরেই করোনা প্রতিরোধকারী শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। তাই তৃতীয় পর্বের টেস্টে এটি ৩০,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর করা হচ্ছে।