সংক্ষিপ্ত
অথর্ববেদ-এর যে অংশে চিকিৎসা বিদ্যা বর্ণিত আছে তা-ই আয়ুর্বেদ। এই চিকিত্সা বর্তমানে ‘হারবাল চিকিত্সা’ তথা ‘অলটারনেটিভ ট্রিটমেন্ট’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে এই চিকিত্সা বেশি প্রচলিত। পাশাপাশি উন্নত বিশ্বেও এই চিকিত্সা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
যে জ্ঞানের মাধ্যমে জীবের কল্যাণ সাধন হয় তাকে আয়ুর্বেদ বা জীববিদ্যা বলা হয়। আয়ুর্বেদ চিকিত্সা বলতে ভেষজ বা উদ্ভিদের মাধ্যমে যে চিকিত্সা দেওয়া হয় ও তা বুঝানো হয়। এই চিকিত্সা ৫০০০ বছরের পুরাতন। পবিত্র বেদ এর একটি ভাগ - অথর্ববেদ-এর যে অংশে চিকিৎসা বিদ্যা বর্ণিত আছে তা-ই আয়ুর্বেদ। এই চিকিত্সা বর্তমানে ‘হারবাল চিকিত্সা’ তথা ‘অলটারনেটিভ ট্রিটমেন্ট’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে এই চিকিত্সা বেশি প্রচলিত। পাশাপাশি উন্নত বিশ্বেও এই চিকিত্সা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
আজকাল হাঁটু ও জয়েন্ট পেইন সমস্যা দেখা যায়। যারা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকে তারা প্রায়শই বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই ধরনের সমস্যা শুরু করে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও একই সমস্যায় ভুগছেন। রাঁচির একটি গ্রামে হাঁটুর আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিচ্ছেন ধোনি। আয়ুর্বেদে হাঁটু ব্যথার চিকিৎসা খুবই কার্যকর। আপনিও যদি আয়ুর্বেদে বিশ্বাস করেন, তাহলে এই জিনিসগুলি আপনার হাঁটুর ব্যথা কমিয়ে দেবে এবং আর্থ্রাইটিসে আরাম পাবে। ধোনির মতো আপনিও এই ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন।
আয়ুর্বেদে হাঁটুর চিকিৎসা-
১) ত্রিফলা- আর্থ্রাইটিসের সমস্যা দূর করতে অবশ্যই ত্রিফলা খান। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা শরীরকে দ্রুত নিরাময় করে। ত্রিফলা হাড় মজবুত করে এবং অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দূর করে। এটি সেবনে প্রদাহের সমস্যা দূর হয়। এটি আর্থ্রাইটিস এবং জয়েন্টের ব্যথায় উপশম দেয়।
২) অশ্বগন্ধা- আয়ুর্বেদিক ওষুধে, অশ্বগন্ধা জয়েন্টের ব্যথা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। বাতের রোগীদের ব্যথায় দারুণ উপশম পায় এই ভেষজ। অশ্বগন্ধার মূলের নির্যাস রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যানালজেসিক বৈশিষ্ট্য যা জয়েন্টের ব্যথায় উপশম দেয়।
আরও পড়ুন- শিশুকে রোগ থেকে দূরে রাখতে চান, তবে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ এই খাবারগুলো খাওয়ান
আরও পড়ুন- শর্করা থেকে শুরু করে পিত্ত, জাম খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে বহু সমস্যা
আরও পড়ুন- ইউরিক অ্যাসিডকে স্টোন হতে বাধা দেয় পান পাতা, জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন
৩) হলুদ-হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা জয়েন্টের ব্যথা উপশম করে। হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন এমন রোগীদের প্রতিদিন হলুদ দুধ পান করা উচিত। এটি আপনাকে অনেক স্বস্তি দেবে।
৪) ম্যাসাজ- জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার আরেকটি ভালো উপায় হল ম্যাসাজের সাহায্য নেওয়া। আপনাকে নিয়মিত পা এবং জয়েন্টগুলি ম্যাসেজ করতে হবে। এতে মানসিক চাপ ও ব্যথার সমস্যা দূর হয়। ম্যাসাজ রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এর ফলে জয়েন্টের ব্যথা দ্রুত চলে যায়।