সংক্ষিপ্ত

এই আতশবাজি দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে। এমনিতেই এই সময় আবহাওয়া বদলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় তার মধ্যে এই মাত্রাতিরিক্ত দূষণে সমস্যায় পড়তে হয় হাঁপানি ও কাশির রোগীদের। 
 

দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। আর আলো মানেই আতশবাজির রোশনাই, আলোর সজ্জা। কলকাতা, দিল্লীর মত শহরগুলিতে সাধারণ দিনের তুলনায় এই দীপাবলি উৎসবে দূষণের পরিমান আরও একধাপ বৃদ্ধি পায় শুধুমাত্র এই বাজির জন্য। এই আতশবাজি দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে। এমনিতেই এই সময় আবহাওয়া বদলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় তার মধ্যে এই মাত্রাতিরিক্ত দূষণে সমস্যায় পড়তে হয় হাঁপানি ও কাশির রোগীদের। 

প্রতি বছর এই সময় শুধু মাত্র এই কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রচুর মানুষ। আর এই তালিকায় রয়েছে ছোট থেকে বড় দীপাবলি উৎযাপনের এই আতশবাজির ফলে হওয়া দূষণের রেশ থেকে যায় বেশ কিছু দিন। তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকুন আগে থেকে। তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরণের সমস্যা এড়ানো যায় সহজেই। দীপাবলির সময় বায়ু দূষণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এবং শরীরকে ডিহাইড্রেট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে প্রচুর পরিমানে জল খান। এই সময় ভাজা খাবার  মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। একইসঙ্গে প্রচুর পরিমানে ফল খান।

এই সমস্যা এড়িয়ে চলার জন্য যাঁদের অতিরিক্ত হাঁপানির সমস্যা আছে, তারা অসুবিধা হলেই ইনহেলার নিয়ে নিন। এই সময় সর্বক্ষণ ইনহেলারটি সঙ্গে রাখুন। এই ধরনের রোগে বাতাসে থাকা ধূলিকণা, বিষাক্ত গ্যাস এবং ধোঁয়ার ফলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আতশবাজি থেকে দূরে থাকুন। চেষ্টা করুন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাজির ধোঁয়া যাতে কোনওভাবেই আপনার নাকে মুখে ঢুকতে না পারে। তাই চেষ্টা কুরুন এই সময় ঘরের দরজা জানলা বন্ধ করে রাখতে।
 

আরও পড়ুন- এই আবহাওয়ায় হাড় মজবুত রাখতে খাদ্যের পাশাপাশি মালিশ করুন এই ৪ তেল দিয়ে

আরও পড়ুন- এই জিনিসগুলো খাওয়া অবিলম্বে ত্যাগ করুন, না হলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হতে পারে

আরও পড়ুন- বাচ্চার পেটে কৃমি হলে ওষুধ ছাড়াও এই জিনিসগুলো কার্যকর, খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরাম পাবে


দীপাবলির এই সময়টা খুব সকালে মর্নিং ওয়াক বন্ধ রাখুন। বেরোতে হলেও একটু বেলার দিকে বেড়োন। কারণ সকালের দিকে বাতাসে এই সময় দৃষণের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমানে থাকে। মর্নিং ওয়াকেও অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। যখনই বাইরে বেরোবেন সব সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। ব্যবহার করা মাস্কটি সব সময় পরিষ্কার রাখুন, নোংড়া হলে তা বদলে নিন বা ধুয়ে খেলুন। বাতাসে থাকা ধূলিকণা, বিষাক্ত গ্যাস এবং ধোঁয়ার হাত থেকে আপনাকে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে এই মাস্ক।