সংক্ষিপ্ত

চিকিৎসকরা সব সময় ৮ ঘন্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই আটটা ঘন্টা (Sleep) নিজের সুবিধা মতো করে ঘুমিয়ে নেন সকলে। জেনে নিন কখন ঘুমানো উচিত। 

সারাদিন অফিসের (Office) কাজ সামলে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরা। এসে ফ্রেস হয়ে খাওয়া-দাওয়া সেরে নিজের মতো সময় কাটান অনেকে। কেউ গল্পের বই পড়েন, কেউ সিনেমা (Cinema) দেখেন, কেউ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানা কেউ আবার অফিসের বাড়তি কাজ (Work) করেন। এসব করে ঘুমাতে (Sleep) যেতে ২টো থেকে ৩টে বেজে যাচ্ছে রোজই। জানেন কি, এই মাঝ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যেস কত বড় বিপদ ডেকে আনছে। 

চিকিৎসকরা সব সময় ৮ ঘন্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই কথা শুনে অনেকেই ঘুমান। কিন্তু, এই আটটা ঘন্টা (Sleep) নিজের সুবিধা মতো করে ঘুমিয়ে নেন। এতে ঘন্টা হিসেবে ঘুম হলেও, ঘুমের কোনও উপকারিতাই পাচ্ছেন না। সুস্থ থাকতে চাইলে রোজ রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমাতে যান। এমনই পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা।  তবে, যখন তখন ৮ ঘন্টা ঘুমালে উপকার নেই। সঠিক সময় ঘুমাতে হবে।

 আরও পড়ুন: Health Tips : দেহের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তা, প্রতিদিন নিয়ম করে করুন এই কাজ

আরও পড়ুন: Health Tips- একটানা বসে কাজ, কোমর কাঁধে যন্ত্রণা, এবার এই টিপসেই মিলবে সুরাহা, বাঁচবে কাজ

পর্যাপ্ত ঘুমে শারীরিক (Physical) ও মানসিক (Mental) চাপ দূর করে। কার্ডিওভাসকুলার জটিলতা সহ বিভিন্ন কঠিন রোগের ঝুঁকি কমায়। সম্প্রতি, ঘুম নিয়ে একটি বিশেষ গবেষণা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই গবেষণায় প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাত ১০টায় ঘুমাতে যাওয়া আদর্শ সময়। এমনকী, রাত ১১টায় ঘুমানো হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। ইউরোপীয় হার্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই রিপোর্ট। সেখানে ৪৩ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ৮৮,০০০ জনের ওপর গবেষণা করেন। অ্যাক্সিলোমিটার ব্যবহার করে সেই সকল মানুষের ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠার সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, যারা রাত ১০টার আগে ঘুমাতে যান কাদের কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কম।  তবে, রাত ১১টায় ঘুমাতে যাওয়াও উপযুক্ত সময় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, বলা হয়েছে মাঝ রাতের পর ঘুমাতে যাওয়া সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। এতে একাধিক শারীরিক জটিলতা (physical problems) সৃষ্টি হয়। আর দেরি করে ঘুমালে কেউ সকালে উঠতে পারেন না। এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করুন রোজ রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমাতে যেতে। ডাক্তারি মতে, ৮ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম শরীর ও মন উভয় সুস্থ রাখতে প্রয়োজন। তাই সঠিক সময় ঘুমান। তা না হলে, একাধিক কঠিন রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।