সংক্ষিপ্ত
- করোনা শুধু মহামারি নয় সৃষ্টি করেছে আতঙ্কেরও
- বর্ষা মৌসুমে এই সমস্যা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে
- বর্ষার সময়ে অন্যান্য সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়
- জেনে নিন টাইফয়েড-এর কারণ এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী শুধু মহামারি নয় সৃষ্টি করেছে আতঙ্কেরও। বর্ষা মৌসুমে এই সমস্যা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতি বছর অপ্রত্যাশিত বর্ষার সময়ে হওয়া রোগগুলি বিশেষ করে ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া টাইফয়েড এবং অন্যান্য সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে কোভিড-এর সংক্রমণের পাশাপাশি এই রোগগুলিও বর্ষার এই সময় আরও জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তুলতে পারে। বহু সমীক্ষায় প্রমানিত হয়েছে বর্ষার সময়ে মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায় রোগের প্রকোপ।
টাইফয়েড সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটিরিয়া দ্বারা ছড়িয়ে পড়া একটি সংক্রামক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে জ্বর আসে। আর তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে। এর সঙ্গে দেখা যায় অন্যান্য সমস্যাও। দূষিত খাবার, জল বা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। টাইফয়েড হজমের পক্রিয়া এবং রক্ত প্রবাহে ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের কারণে ঘটে থাকে।
টাইফয়েড-এর লক্ষণ ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। টাইফয়েড আক্রান্ত হওয়ার পরও বেশ কিছুদিন পর্যন্ত স্পষ্ট কোনও লক্ষণ প্রকাশ পায় না। শুরুর দিকে শরীরে চাপা অস্বস্তি হতে থাকে, মাথা ব্যথা,বা মাথা ঝিমঝিম করা, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা অনুভূত হওয়া। মাঝে মাঝে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া। এমনকী ডায়রিয়া বা বমিও হতে পারে। অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। পেটের ওপরের দিকে বা পিঠে লালচে দাগ দেখা দেয়। দুর্বলতার কারণে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি অচেতনও হতে পারে। ওষুধ চলা অবস্থায়ও সপ্তাহ খানেক জ্বর থাকতে পারে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
টাইফয়েড ভ্যাকসিন থাকলেও সংক্রমণ রোধ করার জন্য ওষুধ ছাড়াও আরও অনেক বিষয়ে নজর রাখা প্রয়োজন।
বিশুদ্ধ জল পান করা - দূষিত জল পান করা এড়ানো উচিত। এটি হতে পারে যে আপনার অঞ্চলের সরবরাহের জল দূষিত। তাই পানীয়ের জন্য ফিল্টার করা বিশুদ্ধ জল পান করুন।
টাটকা খাবার ব্যবহার করুন - কেবল মাত্র তাজা শাকসবজি এবং খাবার খান। শাক সবজি এবং খাবারগুলি বেশি দিন রাখবেন না। ব্যবহারের আগে এটি ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন।
ঘন ঘন হাত ধোওয়া- করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এই ভালো অভ্যাসটি অনেকেই মেনে চলছেন। তবে শুধু করোনার জন্য নয়, সুস্থ থাকতে ঘন ঘন হাত পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। এর ফলে নানান রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সহজেই।