সংক্ষিপ্ত

গুরুতর কোভিড রোগিদের আইকিউ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যার অর্থ সংক্রমণের কারণে মানুষের যে স্বাভাবিক জ্ঞানবুদ্ধি রয়েছে তা অনেকটাই কমে যেতে পারে। 

মহামারি তার ক্ষত চিহ্ন রেখে যায়। নতুন একটি গবেষণা রিপোর্ট তেমনই দাবি করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে কোভিড -১৯ এর সংক্রমণ শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। রিপোর্টে গবেষকরা দাবি করেছেন গুরুতর কোভিড রোগিদের আইকিউ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যার অর্থ সংক্রমণের কারণে মানুষের যে স্বাভাবিক জ্ঞানবুদ্ধি রয়েছে তা অনেকটাই কমে যেতে পারে। 

গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে গুরুতর কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ যাঁদের হয়েছিল তাঁরা স্মরণ শক্তি ও চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা অনেকটাই হারিয়ে ফেলছেন। ৫০-৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে এজাতীয় মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যাসয় ও ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের বিজ্ঞানীদের একটি দল এই গবেষণাটি করেছে।  গবেষণায় বলা হয়েছে, কোভিডের প্রভাব  সংক্রমণের ৬ মাসেরও বেশি সময় পরে একজন ব্যক্তির মধ্যে সনাক্ত করা যেতে পারে। তবে কোভিডের প্রভাব যদি কোনও মানুষের মস্তিষ্কের ওপর পড়ে তাহলে তা সারতে বা জ্ঞানবুদ্ধি আগের মত হতে অনেকটাই সময় নেয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে এর পুনরুদ্ধার অনেকটাই ধীর গতিতে চলে। 

গবেষণার জন্য গবেষকরা কোভিডের চিকিৎসার জব্য কেমব্রিজের অ্যাডনব্রুক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৪৬ জন রোগির ওপর একটি সমীক্ষা করেছিল। তাদের যাবতীয় তথ্য পরীক্ষা করে দেখেই এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তাদের তীব্র অসুস্থতার প্রায় ৬ মাস পরে রোগীদের বিষদ জ্ঞানের পরীক্ষা করতে বলা হয়েছিল। যা তাদের স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ, যুক্তি পরীক্ষা করে। রোগীদের গ্রুপ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলগুলি একটি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল। 


সেই পরীক্ষায় দেখা গেছে গুরুতর রোগী যারা কোভিড সংক্রমণ থেকে বেঁচে গিয়েছিল তাদের ধীরগতিতে জ্ঞানবুদ্ধি ফিরেছে। সমক্রমণের ৬ মাস পরেও এজাতীয় জিনিস দেখা গেছে। 

রিপোর্টে বলা হয়েছে অসুস্থতার সময় অক্সিজেন বা ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল অনেককেই। তাদের ক্ষেত্রে এজাতীয় সমস্যা অনেক বেশি দেখা গেছে। এই জাতীয় রোগীদের স্মৃতিশক্তি অনেক বেশি দুর্বল হয়ে গেছে। গবেষকরা জানিছেন তারা ৬৬ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত ডেটা পরীক্ষা করেছেন। তাতেই তাঁরা অনুমান করেছেন গুরুতর কোভিড আক্রান্তদের আইকিউ লেভেল ১০ শতাংশ কমে যেতে পারে।