সংক্ষিপ্ত
এই শাকের মধ্যে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ফলে এটি শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। এর মধ্যে অধিক মাত্রায় থাকা গুরুত্বপূর্ন উপাদান গুলি হলো- আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড, ফসফরাস, ভিটামিন সি এর মতো একাধিক উপাদান।
শাক সবজি যে মানুষের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা আর বলার বাকি রাখে না। একথা প্রায় সবাই জানেন। এই কারণেই অভিভাবকরা সন্তানদের শাক সবজি খাওয়ানোর প্রতি বিশেষ জোর দিয়ে থাকেন। বাচ্চারা তা খেতে না চাইলেও তাদের খানিক জোর করেই খাওয়ানো হয়। আর এই সমস্ত বিভিন্ন শাক সবজির মধ্যে রয়েছে এমন একটি শাক হাঁটুর ব্যথা কমিয়ে দেবে নিমেষে। আর সেই শাকটি হল মুলো শাক।
সাধারণত মুলো অনেকেই খেয়ে থাকেন শীতকালে। আবার অনেকেই এই সবজি খুব একটা পছন্দ করেন না। কারণ এর গন্ধ একেবারেই ভালো নয়। অনেকে তো আবার এটি মনের আনন্দে খেয়ে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে এই মুলোর থেকেও শরীরের জন্য অনেক বেশী উপকারী মুলোর শাক। মুলোর শাকের মধ্যে থাকা নানান গুরুত্বপূর্ন উপাদান গুলি শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। এই শাকের মধ্যে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ফলে এটি শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। এর মধ্যে অধিক মাত্রায় থাকা গুরুত্বপূর্ন উপাদান গুলি হলো- আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড, ফসফরাস, ভিটামিন সি এর মতো একাধিক উপাদান।
মুলো শাক আপনার শরীরের জন্য কতটা উপকারী দেখে নিন...
- কোষ্ঠিকাঠিন্যের মতো জটিল সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে।
- পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দারুন উপকারী।
- ইউরিনারি ব্লাডার কে পরিষ্কার করে তুলতে দারুন ভূমিকা নিয়ে থাকে মূলো শাকের জ্যুস।
- পাইলসের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ন্ত্রনে আনতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়ে থাকে এই শাক।
- বিভিন্ন চর্মরোগের ক্ষেত্রে বিশেষ করে স্কার্ভির সমস্যা দূর করতে দারুন ভাবে সাহায্য করে থাকে এই মূলো শাক।
- শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেওয়ার পাশাপাশি ডায়াবেটিসের সমস্যা দূর করতেও কার্যকরী মূলো শাক।
- জন্ডিসের মতো শারীরিক সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে দারুন ভাবে সাহায্য করে থাকে মুলোর জ্যুস।
হাঁটুর ব্যথার সমস্যা দূর করতেও মূলো শাকের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে এজন্য একটি পেস্ট তৈরী করতে হবে আপনাকে। প্রথমে মুলোর শাক টিকে ভালো করে বেটে নিতে হবে। শাকটি বেটে নেওয়ার পর তার মধ্যে ওই একই পরিমান চিনি নিয়ে নিন। তার পর সামান্য জল তার মধ্যে দিয়ে ভালো করে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। সমস্ত কাজ শেষ হলে হাঁটুর যেই স্থানে ব্যাথা সেইখানে ভালো করে এই পেস্টটি লাগিয়ে নিলেই কেল্লাফতে।