সংক্ষিপ্ত
- স্পেশাল ট্রেনে উঠতে না দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র হাওড়া
- হাওড়া স্টেশনে শনিবার সন্ধ্যায় ব্যাপক উত্তেজনা
- জিআরপি-র সঙ্গে সাধারণ যাত্রীদের মারামারি হয়
- জিআরপি-র বিরুদ্ধে লাঠিচার্জেরও অভিযগ উঠেছে
রণক্ষেত্র হাওড়া স্টেশন। রেল কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট বিশেষ ট্রেনে উঠতে না দেওয়ায় সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি পুলিশকর্মীদের। শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, "এদিন সন্ধ্যায় বিশেষ ট্রেনে ওঠার জন্য হাওড়া স্টেশনে ঢুকতে চান প্রচুর সংখ্যক সাধারণ যাত্রী। তাদের ঢুকতে প্রথমে বাধা দেওয়া হয়।" রেল আধিকারিক এর অভিযোগ, "ঢুকতে বাধা দেওয়ার কারণে রেল পুলিশের মহিলা কর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন সাধারণ যাত্রীরা।" যদিও মহিলা কর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানান সাধারণ যাত্রীরা। উল্টে সাধারণ যাত্রীরা অভিযোগ করেন রেলের তরফে লাঠিচার্জ করা হয়েছে তাদের উপরে।
এই ঘটনায় পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক অমিতাভ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "এই বিশেষ ট্রেনে ওঠার অধিকার সাধারণ যাত্রীদের নেই। এই ট্রেন কেবল মাত্র রেলের কর্মীদের জন্য।" অন্যদিকে যাত্রীদের তোলা লাঠিচার্জের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "রেল পুলিশের পক্ষ থেকে কোন যাত্রীকে লাঠিচার্জ করা হয়নি।"
"
প্রসঙ্গত এই রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে দুবার চিঠি পাঠিয়েছেন পূর্ব রেল কর্তারা। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দুটি চিঠির কোন উত্তর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তারা এখনও পাননি। লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য তারা সব রকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছেন। রাজ্য সরকারের অনুমতি পেলেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করবেন তারা। যদিও, এই প্রতিবেদন লেখার শেষ মুহূর্তে যে খবর মিলেছে তাতে জানা গিয়েছে লোকাল ট্রেন চালাতে চেয়ে রেলকে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। শনিবার পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিব এইচ কে দ্বিবেদী।