সংক্ষিপ্ত
- কলকাতায় আগেই শুরু হয়েছিল বজ্য পৃথকীকরণের কাজ
- এবার সেই ভাবনার অনুসারী হয়ে জঞ্জাল সাফাইয়ে পচু ও নীলু
- এই দুজনকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিল হাওড়া পুরসভা
- এই পাইলট প্রকল্পে বাড়ি , দোকান এবং ফ্ল্যাট-পিছু দেওয়া হবে দুটি বালতি
বিশ্বজিৎ দাস, হাওড়া: কলকাতা সহ অন্যান্য পুরসভাতে পচনশীল ও অপচনশীল বজ্য পৃথকীকণের কাজ আগেই শুরু হয়েছিল। সেই ভাবনার অনুসারী হয়ে এবার জঞ্জাল সাফাইয়ে পচু ও নীলুকে ব্যাবহার করার পরিকল্পনা নিলো হাওড়া পুরসভা। এই পাইলট প্রকল্পে বাড়ি , দোকান এবং ফ্ল্যাট-পিছু দেওয়া হবে দুটি বালতি। যাদের নামকরণ হয়েছে নীলু ও পচা। হাওড়া পুরসভার ৬৬ টি ওয়ার্ডে দেওয়া হবে এই বালতি । নীলুতে পড়বে প্লাস্টিকজাত দ্রব্য এবং পচাতে অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য।
সকালবেলা ৮ টা থেকে ১১ টার মধ্যে এসে পৌঁছবে বিশেষ এই গাড়ি। পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে বজ্য সংগ্রহ করবে পুরসভার সাফাই কর্মীরা ।বাড়ি থেকে এভাবে জৈব বর্জ্য পদার্থের পাশাপাশি অজৈব বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহের কাজ শুরু হতে চলেছে শহরের ৬৬ টি ওয়ার্ডেই। আজ থেকে এই পরিকল্পনার সূচনা করা হলো হাওড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। এই প্রকল্পের দ্বারা হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগারের উপরে চাপ কমানো সম্ভব বলেই ধারণা পুরসভা কর্তৃপক্ষের।
এই প্রকল্পে বাড়ি এবং ফ্ল্যাট-পিছু ওয়ার্ড থেকে দেওয়া হয়েছে নীলু ও পচু নামের বালতি। প্লাস্টিক, কাগজ, কাচের বাতিল জিনিস ফেলতে হবে সেই বালতির মধ্যেই। আর সেই বালতির জিনিসপত্র প্রতিদিন করে পুরসভার কর্মীরা এসে নিয়ে যাবেন। এলাকাবাসীদের জানানোর জন্য পুরসভার এই বিশেষ গাড়িতে বাজবে রবীন্দ্রসঙ্গীত।
আজকের অনুষ্ঠানে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘ আপাতত ১৫ টি গাড়ি দিয়ে এই প্রজেক্ট শুরু হলেও এই প্রকল্প অনুযায়ী ৬৬ টি ওয়ার্ডেইএই প্রকল্প চালু হলেও ধাপে ধাপে কলকাতা পুরসভার সব ওয়ার্ডে তা শুরু করা হবে। তিনি আরো দাবি করেন রবীন্দ্রসঙ্গীতের মাধ্যমে এক অনন্য পরিবেশের সৃষ্টি হয় ও মানুষ রবীন্দ্র সংগীত ভালোবাসে।’’