সংক্ষিপ্ত

  • পুজোর মুখেও বন্ধ থাকছে হাওড়ার মঙ্গলাহাট
  • ছোট-বড় লক্ষাধিক ব্যবসায়ীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
  • করোনার নিয়ম মেনে মঙ্গলাহাট খোলার দাবি
  • জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিলেন ব্যবসায়ীরা
     

বিশ্বনাথ দাস, হাওড়া-করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে মাস পাঁচেক আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হাওড়া মঙ্গলহাট। রাজ্য়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজার খুললেও এখনও বন্ধ রয়েছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ এই কাপড়ের মার্কেট। বাজার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ছোচ-বড় সব মিলিয়ে কমপক্ষে লক্ষাধিক ব্যবসায়ী উপার্জন নির্ভর করে এই বাজারের উপর। পুজোর মুখে বাজার নতুন করে খোলার আবেদন করলেন ব্যবসায়ীরা।

বাজার খোলার দাবিতে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের নেৃতৃত্বে হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্যের কাছে স্মারকলিপি দেন ব্যবসায়ীরা। করোনা বিধি মেনে পুজোর মুখে মঙ্গলাহাট বাজার খোলার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত জানান, মঙ্গলাহাট বাজার খোলার বিষয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রশাসনকে। প্রয়োজন হলে শুধুমাত্র সকালের দিকে কয়েক ঘণ্টা কাপড়ের বাজার খোলা যেতে পারে। কারণ, এই বাজারের উপর অনেক মানুষের জীবন ও জীবীকা নির্ভর করে আছে। সংক্রমণ এড়াতে জোড় বিজোড় নীতি মেনে প্রতি মঙ্গলবার অন্তর বাজার খোলা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন সুভাষ দত্ত। পাশাপাশি, ভিড় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইউনিয়নের কর্মী এবং ব্যবসায়ীরাও সহযোগিতা করবে বলে জানান সুভাষ দত্ত।

উল্লেখ্য, হাওড়ার মঙ্গলাহাট বাজার শুধু এই রাজ্যেই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সস্তায় জামাকাপড় সরবরাহ করে। সেই সঙ্গে এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাট হওয়ায় ওই বাজারের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বেশি। গোটা মঙ্গলাহাট চত্বরে রয়েছে মোট ১৩টি হাট। যার মধ্যে কোনওটিতে চার হাজার, আবার কোনও টিতে ৪০০-৫০০ দোকান রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জীবন জীবীকা নির্ভর করে লক্ষাধিক ব্যবসায়ীর। এই অবস্থায় পুজোর মুখে মঙ্গলাহাট না খুললে তীব্র আর্থিক সমস্য়ার মধ্য়ে পড়তে পারেন ব্যবসায়ীরা।