সংক্ষিপ্ত
- নিম্নচাপের জেরে দুর্যোগের ঘনঘটা
- মাঝে মাঝে হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছে হাওড়ায়ও
- জল জমেছে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায়
- চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
বিশ্বনাথ দাস, হাওড়া: অল্প হোক কিংবা বেশি, বৃষ্টি হলে আর রক্ষা নেই। কোথাও হাঁটু পর্যন্ত তো, কোথাও আবার কোমর সমান, জল জমেছে হাওড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায়। দুর্ভোগ চরমে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: প্রসূতিকে 'ইঞ্জেকশন', মৃত্যুর পর রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাসত হাসপাতাল
খাতায়-কলমে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু নিম্নচাপ যে সরছে না! গত কয়েক দিন ধরে তুমুল বৃষ্টি চলছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে ক্রমশই। হাওড়ার পরিস্থিতিতে অবশ্য ততটা খারাপ নয়। মাঝে-মধ্যে হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছে জেলার সর্বত্রই। আর তাতেই জলের তলায় চলে গিয়েছে রামচরন শেঠ রোড,পঞ্চনন তলা রোডের মতো হাওড়া শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। জল জমেছে টিকিয়াপাড়া, সালকিয়া, এমনকী দাশনগরের বেশ কয়েকটি এলাকায়। কোথাও আবার রাস্তার জমা জলের সঙ্গে মিশছে নর্দমার নোংরা জল! বেহাল নিকাশির কারণে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: বিদ্য়াধরী নদীর বাঁধ ভেঙে দুর্ভোগ, খাটের ওপর সংসার গ্রামবাসীদের
কেন এমন হাল? দু'বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। হাওড়ার পুরসভায় কিন্তু এখনও বোর্ড গঠন হয়নি। ফলে পুর পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, পুর বোর্ড গঠন না হলে, সমস্যা আরও বাড়বে। পুরসভার তরফে অবশ্য় জানানো হয়েছে, শহরে নিকাশি ব্যবস্থা সচল রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকী, ঘুর্ণিঝড় আমফানে সময়ে যে পাম্পগুলি বসানো হয়েছিল, বর্ষার কথা ভেবে সেই পাম্পগুলিও সরানো হয়নি। আপাতত ২৫টি চলছে, প্রয়োজনে পাম্পের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। কিন্তু ভারী বর্ষায় এই উদ্যোগ কাজে দেবে তো? এখন সেটাই দেখার।
দেখুন ভিডিও-