সংক্ষিপ্ত
- করোনার আতঙ্কে কাঁপছে গোটা রাজ্য
- নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে জমায়েতে
- অনাহারে দিন কাটাতে হবে না তো?
- বাড়ছে আশঙ্কা
করোনা আতঙ্কে কি এবার বাজার-দোকানও বন্ধ হবে? বিভ্রান্তি চরমে। চাল, ডাল, আটা, ময়দার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত করার হিড়িক পড়ে দিয়েছে উলুবেড়িয়া, বাগনান, শ্যামপুর, আমতা-সহ হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায়। ব্যবসায়ীদের একাংশের আশঙ্কা, এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর আকাল দেখা দেবে।
আরও পড়ুন: রাজ্য়ে আজ থেকে বন্ধ বার-রোস্তরাঁ, করোনা কোপে ঝাঁপ বন্ধ স্পা-পার্লারের
মাস্ক পরে রাস্তায় বেরুন, ঘনঘন হাত পরিষ্কার করুন। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সতর্ক হওয়া ছাড়া গতি নেই। শুধু কি তাই! সংক্রমণ ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে জমায়েতেও। এ রাজ্য বন্ধ স্কুল, কলেজ, এমনকী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও। স্থগিত হয়ে গিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও। শনিবার থেকে আবার রাজ্যের সর্বত্রই বার ও রেস্তোরাঁও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কোপ পড়েছে পার্লার ও হুক্কাবারেও। এবার নাকি বাজার-দোকানও বন্ধ হয়ে যাবে! গুজব ছড়়িয়েছে হাওড়ার উলুবেড়িয়া, বাগনান, শ্যামপুর, আমতা, উদয়নারায়ণপুরের মতো এলাকায়। বাজার থেকে নিত্যসামগ্রী কিনে বাড়িতে মজুত করতে শুরু করেছেন অনেকেই। বাদ যাচ্ছেন না ছোট ব্যবসায়ীরাও। আর তাতেই ঘটেছে বিপত্তি। কোথাও চড়া দামে বিকোচ্ছে বিভিন্ন সামগ্রী, তো কোথাও আবার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন: রেল পরিষেবা বন্ধ, জনতা কারফিউতে চালু থাকবে মেট্রো
হাওড়ার বাগনানের পাইকারি আলু ব্যবসায়ী সুশান্ত নন্দীর বক্তব্য, 'লোকে যদি কিনতে চায়, তাহলে তো আর বাধা দিতে পারি না। কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে বাজারে আলুর সংকট তৈরি হবে।' একই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বাগনান থানা সমন্বয় কমিটির সদস্য অনির্বাণ সামন্ত। তাহলে উপায়? বাগনান ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস জানিয়েছেন, প্রতিটি বাজারে নজর রাখছে পুলিশ। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুতের অভিযোগ পেলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।