সংক্ষিপ্ত
- দেড় বছর পর ভোটের হাওয়া হাওড়া পুরসভায়
- জোরকদমে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি
- চলছে জনসংযোগ ও দেওয়াল লিখন
- পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৮-তে
পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। এপ্রিলে কি ভোট হবে হাওড়া পুরসভায়ও? জনসংযোগের কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। চলছে দেওয়াল লিখনও। ভোটে জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না, পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপিও।
হাওড়া পুরসভায় শেষবার ভোট হয়েছিল ২০১৩ সালে। তখন ওয়ার্ড সংখ্যা ছিল ৫০। ৪৬টি ওয়ার্ডে জিতে পুরসভার ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল। মেয়র হন শাসকদলের কাউন্সিলর ও বিখ্যাত চিকিৎসক রথীন চক্রবর্তী। বছর তিনেক পর, ২০১৬ সালে হাওড়ার পুর এলাকার সম্প্রসারণ ঘটে। যোগ হয় বালি পুরসভার আরও ১৬টি ওয়ার্ড। ফের ভোট হয় নতুন ওয়ার্ডগুলিতে। সবকটিতেই জেতেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ফলে ৫০ থেকে হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়ে হয় ৬৬, আর তৃণমূলের দখলে চলে যায় ৬২টি ওয়ার্ড। দুটি করে ওয়ার্ড থাকে বিজেপি ও সিপিএম-এর দখলে। পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে ২০১৮ সালে, কিন্তু ভোট হয়নি। দেড় বছর ধরে পুরসভা চালাচ্ছেন প্রশাসক। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, চলতি বছরের এপ্রিলেই রাজ্যের অন্য়ান্য পুরসভার সঙ্গে ভোট হবে হাওড়াতেও। সেকথা মাথায় রেখে ভোটের প্রস্তুতি নিতেও শুরু করে দিয়েছে শাসক ও বিরোধীপক্ষ।
আরও পড়ুন: প্রশাসনিক ব্যস্ততার মাঝে ভালোবাসার ডাক, প্রেম দিবসে চারহাত এক নবজ্যোৎ-তুষারের
উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে পুরীতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মারা যান হাওড়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রজত সরকার। হোটেলের সামনে থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খুনের মামলায় নাম জড়িয়েছে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈলেশ রায়ের।