সংক্ষিপ্ত
- পুরভোটের আগে নয়া চমক
- কর্পোরেট স্টাইলে সভা তৃণমূলের
- দলের কর্মীদের পরিচয়পত্র বিলি
- পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করতে হবে সভায়
পুরভোটের আগে কর্পোরেট ছোঁয়া শাসকদলের অন্দরে। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঢুকতে হবে তৃণমূল কর্মী-সমর্থক, এমনকী পুর প্রতিনিধিদেরও! হাওড়ায় উলুবেড়িয়া থেকে যাঁরা সভায় যাবেন, বুধবার তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হল বারকোড সম্বলিত পরিচয়পত্র। অনুষ্ঠান হল রবীন্দ্রভবনে। হাজির ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হাওড়ার(গ্রামীণ) জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক পুলক রায়, বিধায়ক ইদ্রিশ আলি ও মন্ত্রী নির্মল মাজি।
আরও পড়ুন: এই পৌরসভায় গতবার খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল, কী হবে এবারের ফলাফল
আরও পড়ুন: এক্সপ্রেসওয়ে এবার মেদিনীপুর শহরে, প্রস্তাব গেল নবান্নে
কী ব্য়াপার? পুরভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। কলকাতা ও হাওড়া তো বটেই, রাজ্যের আরও ১০২টি পুরসভা ভোট হবে এপ্রিলেই। ভোটের প্রস্তুতিতে নেমেছে পড়েছে সব রাজনৈতিক দলই। আগামী ২ মার্চ দলের পুরপ্রতিনিধি ও কর্মীদের নিয়ে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী বার্তা দেবেন তিনি? সভায় যোগ দিতে চাইলে কিন্তু দেখাতে পরিচয়পত্র। বৃহস্পতিবার হাওড়ার উলুবেড়িয়ার রবীন্দ্রভবনে এক অনুষ্ঠানে কর্মী-সমর্থকদের বারকোড সম্বলিত এই পরিচয়পত্র বিলি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। শুধু তাই নয়, যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ভিডিও-ও দেখানো হয় অনুষ্ঠানে। সভায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের কী কী করণীয়, তা একেবারে হাতেকলমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ভিডিওতে।
জানা গিয়েছে, তৃণমূলনেত্রীর সভায় যাঁরা আসবেন, তাঁরা কোন সিঁড়ি দিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ঢুকবেন, কোন গ্যালারিতেইবা বসবেন, তাও উল্লেখ করা হয়েছে পরিচত্রপত্রে। পরিচয়পত্রের পিছন রয়েছে তৃণমূলনেত্রীর ছবি সম্বলিত একটি বারকোড। সভাস্থলে পৌঁছানোর পর সেই বারকোডটি নির্দিষ্ট যন্ত্রে স্ক্যান করতে হবে, তবেই মিলবে ভিতরে ঢোকার অনুমতি। পুরভোটের আগে কেন দলে হঠাৎ কর্পোরেট কালচার আমদানি করল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব? এর আগেও একাধিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নিয়ম না মানলে দলে কোনও জায়গা নেই। নেতা-কর্মীদের আরও সঙ্ঘবদ্ধ করতেই এবার কর্পোরেট স্টাইলে সভার করার সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশই।