সংক্ষিপ্ত
- রাজ্য় বিজেপির সহসভাপতি তথা নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসু
- এদিন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক তিনি
- তাঁর কথায়, সংখ্য়াগরিষ্ঠতা আছে বলেই সন্ত্রাসের রাজনীতি চালাতে পারি না
- একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, গণতান্ত্রিক দেশে কোনও আইনকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যায় না
তিনি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, মুসলমানরা সেখানে নেই কেন? নেতাজি পরিবারের সদস্য় তথা রাজ্য় বিজেপির সহসভাপতি চন্দ্র বসু এবার বিরোধীরে ওপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের অভিযোগকে কার্যত সিলমোহর দিয়ে স্পষ্টই বললেন, "সংখ্য়াগরিষ্ঠতা আছে বলেই সন্ত্রাসের রাজনীতি চালাতে পারি না। মানুষের কাছে গিয়ে বোঝানো উচিত এই আইনের কী সুবিধে তাঁরা পাবেন।"
জাতীয় নাগরিক পঞ্জি আর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে দিল্লির শাহিনবাগ থেকে কলকাতার পার্কসার্কাস পর্যন্ত। আন্দোলনে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন উত্তরপ্রদেশে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে চন্দ্র বসুর এই মন্তব্য় শুধু তাৎপর্যপূর্ণই নয়, রীতিমতো বিস্ফোরকও বটে। নেতাজির প্রপৌত্র তথা রাজ্য় বিজেপির সহসভাপতি সোমবার কিছুটা আত্মসমালোচনার সুরেই বলেন, তিনি দলীয় নেতৃত্বকে বুঝিয়েছেন যে নিজেদের একটু পাল্টালেই পুরো বিরোধী শিবির বসে যাবে।
কিন্তু 'পাল্টানো' বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন তা স্পষ্ট না-করলেও সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান, দিলীপ ঘোষ যেভাবে প্রতিবাদীদের কুকুরের মতো গুলি করে মারতে বলেছেন সম্প্রতি, তা তিনি মোটেও সমর্থন করেননি। সরাসরি সে প্রসঙ্গে কিছু না-বললেও চন্দ্রবাবুর কথায় সেই ইঙ্গিতই রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। কেউ কেউ আবার বলছেন, শরীরে নেতাজি পরিবারের রক্ত আছে বলেই, বিজেপিতে যোগ দিয়েও দলের অধিকাংশ কাজের সঙ্গেই একমত হতে পারছেন না তিনি। যদিও চন্দ্রবাবুর নিজের দল বিজেপি এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
এদিন চন্দ্র বসু আরও একটি বিতর্ককে উসকে দেন। তিনি বলেন, "একবার বিল পাস হয়ে গেলে রাজ্য় সরকারগুলো তা মানতে বাধ্য়। এটাই আইন। কিন্তু বলে কোনও গণতান্ত্রিক দেশে কোনও আইনকে আপনি নাগরিকদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারেন না।"
এর আগে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি, নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার পর বিজেপি যখন ওই আইনের সপক্ষে রাস্তায় নেমেছে, তখন টুইট করে চন্দ্রবাবু জানতে চেয়েছিলেন, কেন ওই আইনে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সেইসঙ্গে দেশের সংখ্য়ালঘুদের সপক্ষে তাঁর যুক্তি ছিল, মুসলিমরা যদি নিজেদের দেশে অত্য়াচারিত না হতেন, তাহলে তাঁরা এদেশে আসতেন না। তাই তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করায় কোনও ক্ষতি নেই।