সংক্ষিপ্ত
লজ্জায় ঢাকল সিবিআই-এর মুখ
১০৩ কেজি সোনা গায়েব হয়ে গিয়েছে সিবিআই-এর হেফাজত থেকে
এতদিন রাজ্য পুলিশের দুর্নীতির তদন্ত করত এই কেন্দ্রীয় সংস্থা
এবার তাদের কর্তাদের মুখোমুখি হতে হবে রাজ্য পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের
এতদিন রাজ্য পুলিশের দুর্নীতির তদন্ত করত সিবিআই। কিন্তু পাশা পাল্টে গেল। এবার সিবিআই কর্তাদের মুখোমুখি হতে হবে রাজ্য পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের। শুক্রবার সেইরকমই নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সিবিআই-এর হেফাজত থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে ১০৩ কেজি সোনা, যার মূল্য ৪৩ কোটি টাকারও বেশি। মাদ্রাজ হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে এই বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে।
আর এই সোনা উধাও রহস্যের তদন্ত করবে তামিলনাড়ু রাজ্য পুলিশ। রাজ্য পুলিশ এই মামলার তদন্ত করলে সিবিআই-এর মর্যাদাহানি হবে বলে যুক্তি দিয়েছিল সিবিআই। তারা চেয়েছিল নিজেরাই তদন্ত করতে, অথবা এনআইএ-কে এই তদন্তের ভার দেওয়া হোক। কিন্তু, আদালত সেই যুক্তি কানে নেয়নি। বলেছে, এটা সিবিআই-এর জন্য একটা অগ্নিপরীক্ষা। যদি তাদের হাত সীতা-র মতো পরিষ্কার থাকে, তবে তারা এই পরীক্ষার পর আরও উজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে সামনে আসতে পারবে। আর না হলে তাদের ফল ভুগতে হবে।
এই ঘটনার সূত্রপাত অন্য একটি দুর্নীতির অভিযোগের মামলা থেকে। চেন্নাইয়ে মিনারেলস অ্যান্ড মেটালস ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এমএমটিসি-র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে, সুরানা কর্পোরেশন লিমিটেড নামে একটি সংস্থার প্রতি পক্ষপাত করার অভিযোগ উঠেছিল। মামলায় বলা হয়েছিল, বিদেশ থেকে সোনা ও রূপা আমদানির ক্ষেত্রে ওই সংস্থাকে সহায়তা করেছিলেন এমএমটিসি-র কর্মকর্তারা। সেই বিষয়ে হওয়ার দুটি মামলায় প্রায় ৪০০.৪৬ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সিবিআই।
২০১৫ সালে, সিবিআই পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে তদন্ত বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে পাওনা পরিশোধ না করায় সুরানা-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে, ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল ওই সিবিআই-এর হাতে থাকা সুরানা কর্পোরেশন লিমিটেড-এর ওই সোনা ছয়টি ব্যাঙ্কে বিতরণ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময়ই ধরা পড়ে ১০৩.৮৬৪ কেজি সোনা কম রয়েছে। সিবিআই হেফজতে থাকাকালীন ওই সোনা কোথায় গেল, সেই বিষয়ে তদন্ত করার জন্যই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।