সংক্ষিপ্ত

বাদল অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভের জেরে সংসদে অভিযোগ জানিয়েছিল কেন্দ্র। ১২ জন সাংসদের বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তোলা হয়েছিল। 

অসংসদীয় আচরণের (Violent Behaviour) জন্য রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড (Suspend) করা হল ১২ জন সাংসদকে (MPs)। কংগ্রেস (Congress) ও সিপিএমের (Cpm) পাশাপাশি সেই তালিকায় দুই তৃণমূল (TMC MP) সাংসদেরও নাম রয়েছে। সংসদের বাদল অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে আর সেই কারণেই গোটা শীতকালীন অধিবেশনের (Winter Session) জন্যই এই ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধী দলগুলি। 

বাদল অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভের জেরে সংসদে অভিযোগ জানিয়েছিল কেন্দ্র। ১২ জন সাংসদের বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তোলা হয়েছিল। পাশাপাশি সংসদের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করারও অভিযোগ আনা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। তারপরই তারপরই অভিযুক্ত সাংসদদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে সংসদ। বাদল অভিবেশনের সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্যই এই ১২ জনকে সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- বিরোধীদের তুমুল হট্টগোল, কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস করল সরকার

এই তালিকায় রয়েছেন সিপিএম সাংসদ এলামারাম করিম, কংগ্রেস সাংসদ ফুলো দেবী নেতম, ছায়া বর্মা, রিপুন বোরা, রাজামণি প্যাটেল, সৈয়দ হুসেন, অখিলেশ প্রসাদ সিং। সিপিআই-এর বিনয় বিশ্বম এবং শিবসেনার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ও অনিল দেসাই। এছাড়া দুই তৃণমূল সাংসদের মধ্যে নাম রয়েছে দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রীর। অবশ্য এই তালিকায় অর্পিতা ঘোষের নামও ছিল। কিন্তু, তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এই শাস্তি আর তাঁর বিরুদ্ধে কার্যকর হচ্ছে না।

এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধী দলগুলি। রাজ্যসভায় বিরোধী দলগুলির দলনেতারা আগামীকাল এনিয়ে একটি বৈঠক করবেন। সেখানে প্রায় ১৪টি দল উপস্থিত থাকবে। তবে সেই বৈঠকে তৃণমূলে যোগ দেবে কিনা তা জানা যায়নি। সেখানেই এনিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। যদিও সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক।'

আরও পড়ুন- 'কৃষি আইন প্রত্যাহার'-এর দাবিতে সংসদের সামনে বিক্ষোভ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড কংগ্রেস

এদিকে সংসদের দুই কক্ষেই আজ ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে যায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। আলোচনা ছাড়াই বিল পাস হওয়ায় সরব হয় কংগ্রেস। সোমবার বিরোধীদের হই হট্টগোলের মধ্যেই এই আইন প্রত্যাহার করারা জন্য আনা বিল পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্র। সকালে মুলতুবি হওয়ার পর ফের অধিবেশন শুরু হয় বেলা ১২টায়। ১২টা বেজে ৬ মিনিট নাগাদ টেবিলে আসে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। ১২টা বেজে ১০ মিনিটে পাস হয়ে যায় সেই বিল। ধ্বনি ভোটে লোকসভায় পাস করা হয় এই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল।