সংক্ষিপ্ত


ললিতপুর জেলাক পুলিশ সুপার নিখিন পাঠক বলেছেন পালির বাসিন্দা চারটি ছেলে নাবালাকিরাকে প্রলোভন দেখিয়ে গত ২২ এপ্রিল বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। 

আবারও নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠল উত্তর প্রদেশে। এবার ঘটনাস্থল উত্তর প্রদেশেরই পালি। এবার রক্ষকদের বিরুদ্ধেই ভক্ষকের ভূমিকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। থানার মধ্যেই এক ১৩ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও নির্যাতিতাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে আগেই বেশ কয়েকজন ধর্ষণ করেছিল বলেও জানিয়েছে সে। 

ললিতপুর জেলার পুলিশ সুপার নিখিল পাঠক বলেছেন পালির বাসিন্দা চারটি ছেলে নাবালিকাকে প্রলোভন দেখিয়ে গত ২২ এপ্রিল বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। ভোপালে নিয়ে গিয়ে রাখে মেয়েটিকে। সেখানে তিন দিন আটকে এই চারজন নাবালিকাকে একের পর এক ধর্ষণ করে। তারপর চারটি ছেলেই নাবালিকাকে ললিতপুরে ফিরিয়ে আনে। বাড়িতে যেতে দেয়নি নির্যাতিতাকে। 

গণধর্ষণে অভিযুক্ত চারজনই নাবালিকা নির্যাতিতাকে পালি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী তিলকধার সরোজের হাতে নিযাতিতাকে তুলে দেয়। তারপর তারা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। এপর নির্যাতিতাতে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে পুশিল কর্তারা তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। মাত্র দুই দিন পরে নতুন করে মেয়েটিকে থানায় থানায় তলব করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে নির্যাতিতাকে থানার মধ্যেই দরজা বন্ধ করে একাধিক পুলিশ কর্মী ধর্ষণ করে।  থানার মধ্যে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয় নির্যাতিতা। সেখানে তিলকধারী সরোজ এ তার সহকর্মীরা আবারও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।  

এরপর মেয়েটি চাইল্ড লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই তার কাউন্সিলিং চলে। আর সেই সময়ই নির্যাতিতা নাবালিকা গোটা ঘটনা বলে ফেলে। একাধিক প্রশ্নের উত্তরে সে ভেঙে পড়ে। চার অভিযুক্তের কথার পাশাপাশি পালি থানার পুলিশ কর্মীদের বর্বর আচরণের কথা সে জানিয়ে দেয়। চাইল্ড লাইন থেকেই পুলিশ সুপারের কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। 

তারপরই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতেই প্রাথমিকভাবে পালি থানার ইনচার্জের পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সরোডকে। তারা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অন্যদিকে বাকি অপরাধীদের গ্রেফতারে একটি বিশেষ দল তৈরি করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। উত্তর প্রদেশের ডিআইজি ব়্যাঙ্কের এক পুলিশ কর্তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব বলেছেন। এই ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে পালি থানার ৬ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।