সংক্ষিপ্ত
প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি বালক-কিশোরদের মধ্যেও অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। দিল্লির একটি বেসরকারি স্কুলের নৃশংস ঘটনা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
দিল্লির একটি বেসরকারি স্কুলে সহপাঠীদের নৃশংস অত্যাচারের শিকার হল ১৪ বছরের একটি ছেলে। তাকে বেধড়ক মারধর করে সহপাঠীরা। এই কিশোরের গোপনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে তার অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে একটি জুভেনাইল হোমে রাখা হয়েছে। পুরো ঘটনা জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। যে কিশোরের উপর এই নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়েছে তার পরিবারের সদস্য, বন্ধুদের পাশাপাশি অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। স্কুলে এই নৃশংস অত্যাচার কীভাবে কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গেল, সেটা কেউই বুঝতে পারছেন না। স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
কীভাবে তৈরি হল এই অপরাধমনস্কতা?
পূর্ব দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অপূর্ব গুপ্তা জানিয়েছেন, ‘২ এপ্রিল নিউ অশোক নগর থানায় খবর আসে, একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক নাবালককে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাত রয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন, ছেলেটির শুধু গোপনাঙ্গেই আঘাত লাগেনি, তার অন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছেলেটি তদন্তকারীদের জানিয়েছে, তার এক সহপাঠী মারধর করে এবং গোপনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে দেয়। কাউকে এই ঘটনার কথা জানালে ছেলেটির বোনের ক্ষতি করবে বলে হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। ছেলেটির অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করা হয়েছে।’
ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা
দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা, ৩৪১ ধারায় অন্যায়ভাবে বাধা দেওয়া, ৩৪ ধারায় কয়েকজন মিলে একই উদ্দেশ্যে অপরাধ, ৩৭৭ ধারায় অস্বাভাবিক অপরাধ, ৫০৬ ধারায় হুমকি এবং পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তর বয়সও ১৪ বছর।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
স্কুল যাওয়ার সময় পিছন থেকে ছাত্রীকে এ কী করল মুসলিম যুবক! দেখুন গায়ে কাঁটা দেওয়া ভাইরাল ভিডিও
Viral Video: স্কুল-পালিয়ে তাজ্জব কীর্তি! ব্রিজের নীচে দুই প্রেমিকার সঙ্গে ছাত্রের শরীরী ঘনিষ্ঠতা