সংক্ষিপ্ত
মালদহের পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে তল্লাশি চালিয়ে তাকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার করা হল ‘প্রেমিক’-কেও।
তিন বছর আগে আলাপ হয়েহিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় প্রেম পর্যন্ত। মাধ্যমিক দিয়েই সেই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে একেবারে মালদহে পৌঁছে গেল দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের কিশোরী। মালদহের পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে তল্লাশি চালিয়ে তাকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার করা হল ‘প্রেমিক’-কেও।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিন বছর আগে কলকাতার টালিগঞ্জের বাসিন্দা ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে সমাজমাধ্যমে পরিচয় হয় মালদহের মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বর্মণের। বিশ্বজিৎ বিবাহিত। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু তিনি ওই কিশোরীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। তাই মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতেই বিশ্বজিতের হাত ধরে মালদহে পালিয়ে আসে ওই কিশোরী। অন্য দিকে, মেয়ের কোনও খোঁজখবর না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। অভিযোগ গ্রহণের পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। চলে মেয়েটির খোঁজ।
শেষ পর্যন্ত মেয়েটির সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে ঢুঁ দিয়ে তার সঙ্গে মালদহের ওই যুবকের যোগসূত্র পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এর পর মালদহের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতা পুলিশ। শেষ পর্যন্ত মালদহ পুলিশের তৎপরতায় নিখোঁজ ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন বিশ্বজিৎ নামে ওই অভিযুক্ত। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, তাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক।
এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘এক বিবাহিত ব্যক্তির সঙ্গে কলকাতা থেকে মালদহ পালিয়ে এসেছিল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাঁরা বিয়ে করবেন বলে স্থির করেছিলেন। তবে শেষমেশ ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অন্য দিকে, ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।’’