সংক্ষিপ্ত

  • ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর থেকেই বিভিন্ন জম্মু ও কাশ্মীরের সিশুদের আটক করার অভিযোগ উঠেছিল
  • প্রথম থেকেই এইসব অভিযোগকে ভূয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছে মোদী সরকার
  • সুপ্রিম কোর্ট জম্মু কাশ্মীর হাইকোর্টকে এই বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছিল
  • সেই রিপোর্ট অনুযায়ী বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকে উপত্যকায় ১৪৪ জন শিশুকে আটক করা হয়েছিল

জম্মু ও কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর থেকেই বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী ও বিদেশী সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল নাবালক-নাবালিকাসহ উপত্যকার বাসিন্দাদের বেআইনিভাবে আটক করা হচ্ছে। তবে প্রথম থেকেই এইসব খবরকে ভূয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। সেই সঙ্গে কোনও নাবালক বা নাবালিকাকে আটক করা হয়নি বলে দাবি করা হয়েছিল।

তবে সুপ্রিম কোর্টের চাপে আসল সত্য বের হল। এই রিপোর্টগুলি সঠিক কিনা তা জানার জন্য জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের জুভেনাইল জাস্টিস কমিটির কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারা যে রিপোর্ট পেশ করেছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪৪ জন নাবালক-নাবালিকাকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ বছরের শিশুও রয়েছে।

উত্তর কাশ্মীরের সোপোর থেকে দক্ষিণের জেলা শোপিয়ান -  উপত্যকার প্রায় সর্বত্রই শিশুদের আটক করার ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি নাবালক বন্দি করার ঘটনা ঘটেছে শ্রীনগরে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যেই দিন আটক করা হয়েছে সেই একই দিনে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আটক শিশুদের কয়েকজনকে বন্দি করা হয়েছিল গোলমাল আটকাতে, আর বাকিদের বন্দি করা হয়েছে কোন না কোনও অপরাধের জন্য। কাউকেই বেআইনিভাবে আটক করা হয়নি।

ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে হিংসার ঘটনায় দেখা যাচ্ছে শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার অনেকময় তাদের পাথর ছোড়ার কাজেও জড়ানো হচ্ছে।

এর আগে শিশু অধিকার কর্মী এনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তা সিনহা সুপ্রিম কোর্টে শিশুদের বেআইনিভাবে আটক করার অভিযোগ করেছিলেন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই সুপ্রিম কোর্ট এই রিপোর্ট তলব করেছিল। এবাীর এই রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত কি নির্দেশ দেয় সেটাই দেখার।