সংক্ষিপ্ত

কেঁচো খুঁড়তে কেউটে - মাদক অভিযানে গিয়ে পুলিশ পেল শিশু ধর্ষণের সন্ধান। অপরাধে যুক্ত চেন্নাইয়ের এক দোকানদার এবং দুই বোন, যারা ওই শিশুদের মা।
 

কর্ণাটকের মাইসোরে এক কলেজ ছাত্রীর গণধর্ষণ নিয়ে দেশ জুড়ে হইচইয়ের মধ্যেই,  পাশের রাজ্য তামিলনাড়ুর চেন্নাই শহর থেকে আরও এক চাঞ্চল্যকর অপরাধের ঘটনা সামনে এল। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, এক দোকানদারকে নিয়মিত তাদের নাবালিকা মেয়েদের ধর্ষণ এবং সেই অপরাধের ভিডিও রেকর্ড করার অনুমতি দিয়েছিল দুই যুবতী মহিলা। এইভাবে তারা ওই দোকানদারের কাছে থেকে কেনা পণ্যের অর্থ পরিশোধ করত বলে জানিয়েছে পুলিশ। এমনকী ওই দুই বোন তাদের মেয়েদের তিন নাবালিকা বন্ধুকেও ওই দোকানদারের হাতে দতুলে দিয়েচিল বলে অভিযোগ। 

অথচ, এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ধরা পড়ে সম্পূর্ণ আকস্মিকভাবে। জানা গিয়েছে ওই দোকানদারের নাম পেরুমল, বয়স ৪৮। দিন কয়েক আগে পুলিশ তার দোকানের হানা দিয়েছিল নিষিদ্ধ তামাকজাত দ্রব্য মজুদ রাখার অভিযোগে। ওইদিন পুলিশ তামাক ভরা একটি ব্যাগ এবং পেরুমলের মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছিল। নিষিদ্ধ তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রেতাদের সন্ধান পেতে পুলিশ ওই মোবাইল ফোনটি পরীক্ষা করা শুরু করেছিল। তখনই, তাদের নজরে আসে ফোনের গ্যালারি শিশু নির্য়াতনের প্রায় ৫০টি ভিডিও রয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ভেবেছিল পেরুমল বোধহয় শিশু পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করেছে। কিন্তু, পরে দেখা য়ায়, প্রতিটি ভিডিওতে একটি লোককেই ধর্ষণ করতে দেখা যাচ্ছে, আরও ভালো করে দেখে পুলিশ বুঝতে পারে ওই ব্যক্তি আর কেউ নয়, স্বয়ং পেরুমল। 

"

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এরপরই পেরুমালকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ প্রথম ওই দুই বোনের কথা জানতে পারে। তাদের একজনের বয়স ৩০ বছর, অপরজনের ২৮। এরপর তাদের দুজনকেও গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, বড়বোনের সঙ্গে পেরুমলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই বোন পেরুমলের দোকান থেকে নিয়মিত বিভিন্ন পণ্য নিত, তবে তার বিনিময়ে কোন টাকা দিত না। বরং, দোকানির হাতে তুলে দিত তাদের নিজেদের নাবালিকা মেয়েদের। তাদের অনুমতি নিয়েই ওই শিশুদের যৌন ধর্ষণ করত পেরুমল। সেই জঘন্য অপরাধের ভিডিও রেকর্ড করে রাখত। যা, শেষ পর্যন্ত তাদের ধরিয়ে দিয়েছে। 

আরও পড়ুন - মাইসুরুতে নির্ভয়া - গণধর্ষিতা ছাত্রী, বেধড়ক মার তাঁর প্রেমিককে, ২৪ ঘন্টা পরও অধরা দুষ্কৃতীরা

আরও পড়ুন - স্ত্রীর গোপনাঙ্গ সেলাই করে দিল হাতুড়ে ডাক্তার, ভারতে বাড়ছে সন্দেহবাতিক স্বামীর সংখ্যা

আরও পড়ুন - Viral Video - রিক্সায় লাফিয়ে উঠে প্রকাশ্যে যুবতীকে চুমু, পাকিস্তানও প্রায় তালিবানিস্তান

আরও ভয়ঙ্কর বিষয় হল, শুধু নিজেদের সন্তানদের ওই অবস্থার মুখে ঠেলে দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি ওই দুই বোন। তাদের বাচ্চাদের সঙ্গে তাদের বাড়িতে খেলতে আসত, এমন প্রতিবেশিদের তিনজন শিশুকেও পেরুমলের লালসা মেটাতে ব্যবহার করেছিল তারা। গত ছয়মাস ধরে এই ব্যবস্থা চলছিল। জেলা প্রশাসক কার্তিকেয়ান জানিয়েছেন, ওই তিনজন শিশু, বয়সে এতটাই ছোট যে তারা বাবা-মাকে কী ঘটছে তা বলতেও পারেনি। পুলিশ ইন্সপেক্টর পেরুমলের মোবাইল ফোন পরীক্ষা না করলে, এই বিষয়টি কখনই প্রকাশ্যে আসত না এবং আরও অনেক শিশু এদের শিকার হতো বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। 
 

YouTube video player