সংক্ষিপ্ত
- গত ৭ দিনে ৩ বার জঙ্গি হামলা জম্মু ও কাশ্মীরে
- স্বাধীনতা দিবসের আগের দিনই শ্রীনগরের নওগাম হামলা হয়
- এই হামলায় শহিদ হন কাশ্মীর পুলিশের ২ কর্মী
- এই হামলার ফের ৩দিনের মধ্যে জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত উপত্যকা
গত কয়েকমাস হল জঙ্গি দমনে লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় সেনা। তাতে নিয়মিত সাফল্যও আসছে। কাশ্মীর পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, উপত্যকায় উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে জঙ্গিদের সংখ্যা। আর এসবের মধ্যেই ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। বারামুলার জঙ্গিদের ছোঁড়া এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তিন কর্তব্যরত নিরাপত্তা রক্ষীর। এদের মধ্যে দু’জন সিআরপিএফ-এর জওয়ান ও একজন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আধিকারিক।
সোমবার সকালে হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। সেই সময় সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী ক্রিরির চেক পোস্টে টহল দিচ্ছিল। তখনই তাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে বাহিনীও। তবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় সন্ত্রাসবাদীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ২ জন সিআরপিএফ কর্মী ও একজন পুলিশকর্মীর।
কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে টুইটে জানানো হয়েছে যে, ‘সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী ক্রিরির চেক পোস্টে টহল দিচ্ছিল। তখনই তাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। পালটা গুলি চালাতে শুরু করে বাহিনীও। তবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় সন্ত্রাসবাদীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ২ জন সিআরপিএফ জওয়ান ও একজন পুলিশকর্মীর।’
পুলিশের আই জি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আমরা জঙ্গি হানায় তিন জওয়ানকে হারিয়েছি। ঘটনাস্থলে বাড়তি ফোর্স পাঠানো হয়েছে। কাশ্মীরে গত এক সপ্তাহে এই নিয়ে তিনবার নিরাপত্তারক্ষীরা জঙ্গি হানার মুখে পড়লেন। গত ১৪ অগস্ট শ্রীনগরের কাছে নওগামে পুলিশের একটি কনভয়ের উপর হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসবাদী। ওই ঘটনায় দু জন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। জখম হন আরও একজন পুলিশকর্মী। পুলিশের একটি কনভয়কে লক্ষ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। গত ১২ আগস্ট শ্রীনগর-বারামুলা হাইওয়ের উপরে হায়গাম অঞ্চলে সেনাবাহিনীর এক কুইক রিঅ্যাকশান টিমকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি ছোঁড়ে। এক সেনা জওয়ান আহত নিহত হন। এছাড়া গত ৬ অগাস্ট সকালে কুলগাম জেলার কাজিগুন্দ এলাকায় বিজেপির গ্রামপ্রধানকে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেই সময় বাড়ির বাইরে ছিলেন কুলগাম জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি সাজ্জাদ। বাড়ির বাইরেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সাজ্জাদের গুলি লাগার পরেই জঙ্গিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে চলতি বছর ১ এপ্রিল থেকে উপত্যকায় জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনী ও রাজনৈতিক কর্মীদের উপর কমপক্ষে ৩০ বার হামলা চালিয়েছে। এর ফলে অন্তত ১২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীর মৃত্যু হয়েছে ও জখম হয়েছেন ১৯ জন। জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছে ৬ রাজনৈতিক কর্মীর। ৩০টির মধ্যে উত্তর ও মধ্য কাশ্মীর ১২টি জঙ্গি হামলা হয়েছে।
এদিকে জম্ম-কাশ্মীরে ফের বড় নাশকতার ছক বানচাল করল নিরাপত্তারক্ষীরা। লওয়ামায় সেতুর নীচ থেকে উদ্ধার করা হল ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি। নাশকতার উদ্দেশ্যেই সেতুর নীচে এই বিস্ফোরক রেখেছিল জঙ্গিরা, এমনটাই জানিয়েছে নিরাপত্তারক্ষীরা।