সংক্ষিপ্ত

  • যৌন নির্যাতনের শিকার সরকারি স্কুলের ২৪ জন ছাত্রী
  • অভিযুক্ত তিন শিক্ষক
  • প্রথম দুজন গ্রেফতার, তৃতীয় জন পলাতক
  • হরিয়ানার হিশার জেলার ঘটনা

 

যৌন নির্যাতনের শিকার ২৪ জন ছাত্রী। অভিযুক্ত ল্যাব সহকারী, শারীর শিক্ষা প্রশিক্ষক এবং কম্পিউটার শিক্ষক। প্রথম দুজনকে গ্রেফতার করা গেলেও তৃতীয় জন পলাতক। সবচেয়ে বড় কথা ঘটনাটি ঘটেছে একটি সরকারি স্কুলে। বিজেপি শাসিত হরিয়ানার হিশার জেলার এই গ্রামের ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে।

হরিয়ানার শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা সুনিতা যাদব পুলিশের কাছে ওই সরকারি স্কুলে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ জানান। তিনি বলেছেন, এই জঘন্য কাজ শুরু হয়েছিল চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে। অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের উপর নিয়মিত যৌন নির্যাতন চালাতেন স্কুলের ওই তিন শিক্ষক। ছাত্রীদের হুমকি দেওয়া হত, মুখ খুললে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হবে। তাদের তাড়াতাড়ি স্কুলে আসতে এবং দেরি করে বাড়িতে যেতে বাধ্য করা হত।

আরও পড়ুন - ছেলের হাতে ধর্ষিতা মা, তিনমাস ধরে অত্যাচার সয়ে ভাঙল সহ্যের বাঁধ

তাদের এই স্কুলে তাড়াতাড়ি যাওয়া ও দেরি করে ফেরা দেখে অভিভাবকদের সন্দেহ হয়। এরপরই বেশ কয়েকজন ছাত্রীই তাদের বাবা-মা'দের বিষয়টি জানায়। এরপর অভিভাবকরা ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের অধ্যক্ষ এবং গ্রাম-প্রধানের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু, দুজনের কেউই কোন ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টাই করেননি। তাতেই তিন দোষী শিক্ষকের উৎসাহ বেড়ে গিয়েছিল। এরপরই অভিভাবকরা সুনিতা যাদব-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শিশু সুরক্ষা অফিসার নিজেই সোমবার স্কুলে যান। আর তারপরই পুরো ঘটনার পর্দা ফাঁস হয়।

আরও পড়ুন - শীতের ভোরে পুলিশের ঘুম, লকআপ থেকে চম্পট দিল নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত

সুনিতা যাদবের কাছে স্কুলের মেয়েরা, ল্যাব সহকারী, শারীর শিক্ষা প্রশিক্ষক এবং কম্পিউটার শিক্ষক-এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই স্কুলের ক্যাম্পাসের মাত্র ২৫ শতাংশ এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার অধীনে রয়েছে। কম্পিউটার ল্যাবরেটরী, বিজ্ঞানের ল্যাবরেটরি অঙ্কের ল্যাবরেটরি, শৌচালয়-এর আশেপাশের এলাকা সিসিটিভি-রর আওতার বাইরে। ছাত্রীরা জানিয়েছে ওই সহ অঞ্চলেই তাদের উপর নির্যাতন চালানো হত।

আরও পড়ুন - শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করল প্রতিবেশী কিশোর, দুই পরিবারের ধুন্ধুমারে জখম এক গর্ভবতী

মূল তিন অভিযুক্তের পাশাপাশি এই ঘটনায় ফেঁসেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও গ্রাম প্রধান-ও। ছাত্রী ও অভিভাবকরা তাঁদের কাছে অভিযোগ জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশু সুরক্ষা অফিসার সুনিতা যাদব।