সংক্ষিপ্ত

মহিলার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে মৃতার বয়স প্রায় ২৫ বছর এবং তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।

 

সোমবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বেঙ্গালুরুর চান্দাপুরায় এক আবাসিক ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে পশ্চিমবঙ্গের এক মহিলার একটি পচা, নগ্ন দেহ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ ঘর থেকে মাদক ও একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার করেছে। যদিও মহিলার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে মৃতার বয়স প্রায় ২৫ বছর এবং তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।

পুলিশের অনুমান, হত্যার আগে যুবতীকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। তারা আরও জানিয়েছে যে ঘর থেকে যুবতীর যে দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল সেখানে তাকে তার ৪০ বছর বয়সী একজন ব্যক্তির সঙ্গে শেষবারের মত দেখা গিয়েছিল।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, “মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন আছে কি না, এটা জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্টের প্রয়োজন। কারণ মৃতদেহে অত্যন্ত পচন ধরার ফলে তা আমরা বের করতে পারিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ এবং কোনও যৌন নিপীড়ন ছিল কিনা তা নির্ণয় করতে সাহায্য করবে আমাদের”।

বাড়িওয়ালা, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সঙ্কেত গুপ্তা এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে নিচতলায় থাকেন এবং বাকী ফ্লোর ভাড়া দেওয়া। গত ডিসেম্বরে, একজন ব্যক্তি যিনি নিজেকে ওড়িশার বাসিন্দা বলে জানান, নাম সাফান বলে পরিচয় দিয়েছিলেন, তিনি ৯,৮০০ টাকা ভাড়া এবং ৬০,০০০ টাকা অগ্রিম দিয়ে চতুর্থ তলায় একটি সিঙ্গেল বেডরুমের ফ্ল্যাট এবং ভাড়া করেছিলেন। ১০ জানুয়ারি ভাড়া দেয় সাফান এবং বাড়িওয়ালাকে জানায় যে তার স্ত্রী তার শহরে আসছেন এবং সে তাকে শীঘ্রই ফ্ল্যাটে নিয়ে আসবে।

এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি, বাড়িওয়ালা সাফান যে ঘরে ভাড়া নিয়েছিলেন সেখানে তার ৪০ বছর বয়সী আরেকজন পুরুষ এবং ২০ বছর বয়সী একজন মহিলাকে দেখতে পান। যখন সাফানকে নতুন সদস্যদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, উত্তরে সফান বলেছিল যে তারা তার পরিচিত বাবা ও মেয়ে দুদিনের জন্য থাকবে, এরপর চলে যাবে।

এরপর ১০ মার্চ, যখন গুপ্ত দম্পতি ঘর দেখতে যান, তখন তারা দরজা খোলা দেখতে পান এবং যুবতীর শরীর কম্বল দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দেখেন। পরের দিন সকালে, তারা দুর্গন্ধ পেয়ে ওই ঘরে ঢুকে ওই মহিলাকে একই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। কম্বলটি তোলার পরে, যুবতীর পোকায় খাওয়া পচাগলা উলঙ্গ দেহ দেখতে পান। তখনই পুলিশে খবর দিলে, ঘর থেকে পুলিশ সাদা পাউডার জাতীয় পদার্থ এবং একটি সিরিঞ্জ মেলে।