সংক্ষিপ্ত
তিনি নিজেও জানিয়েছেন, মন্দিরে কাজ করে তিনি মানসিক শান্তি পান। মন্দিরে যাঁরা প্রায়ই আসেন তাঁরাওসাদ্দামকে তাঁর কাজের জন্য পছন্দ করেন।
ধর্ম নিয়ে রাজনীতির মধ্যেই সম্প্রীতির বার্তা দিলেন বেঙ্গালুরুর যুবক সাদ্দাম হুসেইন। ২৭ বছরের সাদ্দাম গত তিন বছর ধরে রামনবমীতে বেঙ্গালুরুর একটি রাম মন্দির সামলাচ্ছেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, রাম নবমী উপলক্ষে রাজাজিনগরের এই মন্দিরে খুব ভিড় হয়। আর তাই মন্দির চত্বরকে নিজে হাতে পরিষ্কার করেছেন সাদ্দাম। মন্দিরটির কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করেন এই যুবক। এই রামনবমীর সময়ে মন্দিরের রথটি মিছিলের জন্য বের করা হয়। সেটিকেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও চালু রাখার দায়িত্ব সাদ্দামের।
সাদ্দাম নিজেও জানিয়েছেন, মন্দিরে কাজ করে তিনি মানসিক শান্তি পান। মন্দিরে যাঁরা প্রায়ই আসেন তাঁরাও সাদ্দামকে তাঁর কাজের জন্য পছন্দ করেন।
মন্দিরের অফিস-বেয়ারার ভেঙ্কটেশ বাবু বলেন, আমার দোকানে ১৮ বছর ধরে কাজ করছে সাদ্দাম। এই মন্দিরে কাজ পাওয়ার পরে ওকে আমি মন্দির পরিষ্কারের দায়িত্ব দিই। ও প্রতি বছর রাম নবমীর আগে এসে মন্দির পরিষ্কার করে।
ভেঙ্কটেশ জানান, বেঙ্গালুরুর এই অংশে হিন্দু-মুসলিম কোনও ভেদাভেদ নেই। প্রত্য়েকেই শান্তিতে ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। রাজনীতিতে এগুলিকে সমস্য়া হিসেবে দেখানো হলেও, আমরা শান্তিতেই থাকি।
সাদ্দামও তাই হিন্দু মন্দিরে অনায়াসে প্রবেশ করতে পারেন। মন দিয়ে কাজ করেন। ২৭ বছরের যুবক বলছেন, আমি মুসলিম পরিবারের ছেলে। কিন্তু গত ৩ বছর ধরে এই মন্দিরে কাজ করছি। আমার ভাল লাগে এখানে কাজ করতে। অনেক মানসিক শান্তিও পাই। আমি মন্দিরের পুরো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকটা দেখি। কেউ আমায় কোনও দিন বাধা দেয়নি।
১৯৫০ সালে তৈরি হয় বেঙ্গালুরুর রাজাজিনগর। সেই বছরই এই মন্দির তৈরি হয়। ১৪ এপ্রিল রামনবমীতে মানুষের ঢল নামবে এই মন্দিরে। তাই নিজে হাতে মন্দির গুছিয়ে রেখেছেন সাদ্দাম।