সংক্ষিপ্ত

  • এনআরসি তালিকা -ছুটদের এখনও ভারতের নাগরিকত্ব পাওযার সুযোগ আছে
  • কিন্তু ইতিমধ্যেই অসমের বন্দি শিবির গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের
  • বুধবার রাজ্যসভায় অসমের বন্দি শিবিরগুলির তথ্য দেওয়া হল
  • শিবিরগুলিতে কী কী সুবিধা দেওয়া হয় বন্দিদের

 

এনারসি-তে তালিকাছুটদের ভারতের নাগরিক হওয়ার সুযোগ এখনও আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে ফের নতুন করে অসমে এনআরসি করার কথা বলায় ধন্দ আরও বেড়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই গত কয়েক বছরে অসমের ৬টি বন্দি শিবিরে প্রায় ১০০০ জনকে 'বিদেশি' বলে চিহ্নিত করে আটক করে রাখা হয়েছে। তারমধ্যে ২৮ জনের শিবিরে কিংবা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাজ্যসভায় এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।

আরও পড়ুন - বন্দি শিবিরে মৃত্যু এনআরসি তালিকাছুট হিন্দু বৃদ্ধের, দেহ বাংলাদেশে পাঠাতে বলল পরিবার

তিনি জানান, অসম সরকারের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত অসমের ৬টি বন্দি শিবিরে মোট ৯৯৮ জনকে আটকে রাখা হয়েছে। এঁরা সকলেই ফরেন ট্রাইবুনালে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। আর ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ বন্দি শিবিরেই দেহত্যাগ করেছেন, কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন - জায়গা হতে পারে তাঁদেরই, জেনেও অসমে ভারতের প্রথম গণ বন্দি-শিবির তৈরি করছেন শেফালিরা

তবে বন্দি শিবিরে চিকিৎসা-সহ প্রাথমিক সব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় বলেই দাবি করেছেন নিত্যানন্দ রাই। মন্ত্রী জানান, আটকশিবিরে বন্দিদের খাবার, পোশাক, প্রতিদিনের সংবাদপত্র দেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডেই একটি করে টেলিভিশন রয়েছে। রয়েছে খেলাধুলার জায়গা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের করার জায়গা, গ্রন্থাগার। এমনকী কোনও বন্দি চাইলে যোগব্যায়াম  কিংবা ধ্যান-ও করতে পারেন।

আরও পড়ুন - পুরোনো ব্যথা খুঁচিয়ে তুললেন অমিত শাহ, সিএবি-র বিরোধিতায় ফের প্রতিবাদে উত্তাল অসম

বন্দিদের শরীর স্বাস্থ্যরও সবরকম যত্ন নেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে। প্রতিটি বন্দি শিবিরেই একটি করে ইন্ডোর হসপিটাল রয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকরকম চিকিৎসার সুবিধা, ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসা-কর্মী সবই রয়েছে। সময়ে সময়ে বন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও করা হয়। যদি কোনও বন্দি জটিল কোনও রোগে আক্রান্ত হয়, সেইক্ষেত্রে ইন্ডোর হসপিটালের ডাক্তাররা তাঁকে নিকটবর্তী জেলার কোনও অসামরিক হাসপাতাল কিংবা মেডিক্যাল কলেজ বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠান।

আরও পড়ুন - অসমে এনআরসি আতঙ্ক, মহিলাকে পাঠানো হল ডিটেনশন ক্যাম্পে