সংক্ষিপ্ত
মিড ডে মিল খেয়ে ৩২জন পড়ুয়া একসাথে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে খবর। শুক্রবার এই খবর প্রকাশ হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
মিড ডে মিল নিয়ে ঝামেলার শেষ নেই। একের পর এক ঘটনা সামনে আসে মিড ডে মিল নিয়ে। এবার স্থান তেলেঙ্গানা (Telangana)। সেরাজ্যে মিড ডে মিল (Mid-Day Meal) খেয়ে ৩২ জন পড়ুয়া(32 students) একসাথে অসুস্থ হয়ে পড়েছে (Fall Ill) বলে খবর। শুক্রবার এই খবর প্রকাশ হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। তেলেঙ্গানা সরকার পরিচালিত এই স্কুলে কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন।
জেলা শিক্ষা অফিসার (DEO) ডাঃ এ রবিন্দর রেড্ডি জানিয়েছেন, নির্মল জেলার ডিমদুরথি গ্রামের মন্ডল পরিষদ উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ১১৪ জন ছাত্র খাবার খেয়েছিল এবং তাদের মধ্যে ৩২ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। অবিলম্বে, ৩২ জনকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। অসুস্থদের মধ্যে ১২ জন শিক্ষার্থী পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তারা বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ডিইও-র রিপোর্টের জবাবে জেলা কালেক্টর মোশাররফ ফারুকি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছেন। খাবার সরবরাহকারী সংস্থাকে দেওয়া চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডিইও।
এদিকে, প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতি এই প্রথম নয়, নানা সময়েই মিড ডে মিলে পর্যাপ্ত এবং সঠিক খাবার না প্রদানের নান খবরই প্রকাশ্যে এসেছে। তবে যোগীর রাজ্যে ছাত্রদের মিড ডে মিল-এ দেওয়া হয় নুন আর রুটি।
ঘটনাটি বিস্ময়কর হলেও এটাই সত্যি। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মিরজাপুরের হিনাউতা গ্রামের। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিলে দুধ, ফল এবং সবজি পাওয়ার কথা, সেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা পাচ্ছে কিছু শুকনো রুটি আর নুন, এমনই খবর প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই একজন শিক্ষককে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় বলে খবর এবং পাশাপাশি এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
স্কুলেরই এক ছাত্রী কাজলের কথায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার খাবার ছিল কেবল রুটি আর নুন। অন্যান্য দিন মাঝে মাঝে সবজী দেওয়া হলেও সেদিন তাদের জন্য নুন-রুটিই ছিল বরাদ্দ। অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি তাঁরা মিড ডে মিলে তাদের জন্য বরাদ্দ দুধ টুকুও পায় না। ওই স্কুলের মিড ডে মিল-এর রাঁধুনী জানিয়েছেন, তাঁকে আধ কিলো আটা দিয়েই স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীদের জন্য খাবার বানাতে বলা হয়েছিল তাই পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় তিনি বাধ্য হয়েই ছেলেমেয়েদের নুন-রুটি খেতে দিয়েছিলেন তিনি।