সংক্ষিপ্ত
৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বেড়েছে
১৪ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯'এ মৃতের সংখ্যা ৩৬৮
এর পাশাপাশি উঠে আসছে আরও একটি পরিসংখ্যান
জানেন লকডাউনের কারণে কতজনের মৃত্যু হয়েছে
১৪ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯'এ মৃতের সংখ্যা ৩৬৮
এর পাশাপাশি উঠে আসছে আরও একটি পরিসংখ্যান
জানেন লকডাউনের কারণে কতজনের মৃত্যু হয়েছে
১৪ এপ্রিল সকাল দশটায় নরেন্দ্র মোদী কোভিড -১৯ কে রুখতে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ার কথা কোভিড-১৯.অর্গ অর্থাৎ সরকারের তৈরি কোভিড-১৯ ট্র্যাকার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ভারতে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যাটা অত্যন্ত দ্রুত হারে বাড়ছে। মৃতের সংখ্যা ৩৬৮। কাজেই লকডাউন অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু, এর পাশাপাশি আরও একটি পরিসংখ্যান-ও মাথায় রাখতে হবে। করোনাভাইরাস-এর কারণে যেমন ৩৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তেমন তাকে প্রতিরোধ করার জন্য যে লকডাউন, সেই লকডাউনের কারণে মৃতের সংখ্যাটাও ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
লকডাউন ভাঙার কারণে সাধারণ মানুষের হিংসার শিকার হয়েছেন অন্তত ৭ জন। মাইলের পর মাইল হেঁটে ঘরে ফেরার পথে পথদুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন জনা ৩৫-এক পরিযায়ী শ্রমিক। ৪০ জনেরও বেশি মানুষ, যাঁরা নিয়মিত মদ্যপান করেন, লকডাউনে মদ না পেয়ে মারা গিয়েছেন, অথবা আত্মহত্যা করেছেন। লকডাউনের পরই করোনাভাইরাস-এ আক্রান্ত হয়েছেন এই আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন আরও জনা ৪০ মানুষ। আর আনাহার এবং আর্থিক সংকটে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেই সংখ্যাটার কোনও সরকারি হিসাব নেই।
উত্তরপ্রদেশের বান্দার কৃষক রামভবন শুক্লা, খেত মজুর না পেয়ে গম চাষে ব্য়াপক ক্ষতির আশঙ্কায় আত্মহত্যা করেছেন। আদতে মেঘালয়ের বাসিন্দা আলড্রিন লিংডো, আগ্রার এক হোটেলে কাজ করত। লকডাউনের পরই তার মালিক তাকে ছাটাই করে। অনাথ আলড্রিন-কে দেখার কেউ ছিল না। অনাহারে মরার চেয়ে আত্মহত্যার পথই বেছে নিয়েছে সে। উত্তরপ্রদেশেই আবার এক মা তাঁর পাঁচ সন্তানকে না খাওয়াতে পেরে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে অনাহারে কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অনাহারে মৃত্যুর খবর এসেছে কর্নাটকের বেল্লারি, বিহারের ভোজপুর থেকেও। আর অনাহারের ভয়ে আত্মহত্যার সংখ্যাও কম নয়।
পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন ভাঙায় পুলিশের লাঠির বাড়িতে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। একই অভিযোগ রয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে পুলিশের ডান্ডার শিকার এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক। উত্তরপ্রদেশে আবার করোনা পরীক্ষায় নেতিবাচক প্রমাণিত হওয়ার পরও এক দলিত যুবককে এমন নাকাল করে পুলিশ, অপমানে সে আত্মহত্যা করেছে। মধ্যপ্রদেশে আবার লকডাউনে হাসপাতালে না পৌঁছতে পেরে প্রাণ হারিয়েছেন এক বৃদ্ধা।
যদি ভাবা যায়, লকডাউন জারি করা হয়েছিল কোভিড-১৯ রোগের হাত থেকে ভারতবাসীর প্রাণ বাঁচানোর জন্য। প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে কিছু প্রাণ বিসর্জন দেওয়াটা কতটা লাভজনক বা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই মুহূর্তে লকডাউন চলছে। বাড়ি বসে থাকার দমবন্ধকর অবস্থা সহ্য করতে না পেরে অনেকে আত্মহত্যা করেছেন। অনেক জায়গাতে অপরাধীদের শিকার হয়েছেন নাগরিকরা, কোথাও নিজে নিজে ওষুধ খেতে গিয়েও প্রাণ গিয়েছে মানুষের - কিন্তু ভারতের মতো মৃত্যু মিছিল কোথাও দেখা যায়নি।
আর সেই কারণেই প্রশ্ন ওঠে, লকডাউনের আগে ঠিকমতো পরিকল্পনা করা হয়েছিল তো? হয়তো আরেকটু গোছানো থাকলে এতগুলি প্রাণের খেসারত দিতে হত না। মঙ্গলবারও মুম্বইয়ের বান্দ্রায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে চেয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন। তবে একটাই স্বস্তির লকজাউন ২.০-তে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবেন, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
লকডাউন ভাঙার কারণে সাধারণ মানুষের হিংসার শিকার হয়েছেন অন্তত ৭ জন। মাইলের পর মাইল হেঁটে ঘরে ফেরার পথে পথদুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন জনা ৩৫-এক পরিযায়ী শ্রমিক। ৪০ জনেরও বেশি মানুষ, যাঁরা নিয়মিত মদ্যপান করেন, লকডাউনে মদ না পেয়ে মারা গিয়েছেন, অথবা আত্মহত্যা করেছেন। লকডাউনের পরই করোনাভাইরাস-এ আক্রান্ত হয়েছেন এই আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন আরও জনা ৪০ মানুষ। আর আনাহার এবং আর্থিক সংকটে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেই সংখ্যাটার কোনও সরকারি হিসাব নেই।
উত্তরপ্রদেশের বান্দার কৃষক রামভবন শুক্লা, খেত মজুর না পেয়ে গম চাষে ব্য়াপক ক্ষতির আশঙ্কায় আত্মহত্যা করেছেন। আদতে মেঘালয়ের বাসিন্দা আলড্রিন লিংডো, আগ্রার এক হোটেলে কাজ করত। লকডাউনের পরই তার মালিক তাকে ছাটাই করে। অনাথ আলড্রিন-কে দেখার কেউ ছিল না। অনাহারে মরার চেয়ে আত্মহত্যার পথই বেছে নিয়েছে সে। উত্তরপ্রদেশেই আবার এক মা তাঁর পাঁচ সন্তানকে না খাওয়াতে পেরে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে অনাহারে কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অনাহারে মৃত্যুর খবর এসেছে কর্নাটকের বেল্লারি, বিহারের ভোজপুর থেকেও। আর অনাহারের ভয়ে আত্মহত্যার সংখ্যাও কম নয়।
পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন ভাঙায় পুলিশের লাঠির বাড়িতে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। একই অভিযোগ রয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে পুলিশের ডান্ডার শিকার এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক। উত্তরপ্রদেশে আবার করোনা পরীক্ষায় নেতিবাচক প্রমাণিত হওয়ার পরও এক দলিত যুবককে এমন নাকাল করে পুলিশ, অপমানে সে আত্মহত্যা করেছে। মধ্যপ্রদেশে আবার লকডাউনে হাসপাতালে না পৌঁছতে পেরে প্রাণ হারিয়েছেন এক বৃদ্ধা।
যদি ভাবা যায়, লকডাউন জারি করা হয়েছিল কোভিড-১৯ রোগের হাত থেকে ভারতবাসীর প্রাণ বাঁচানোর জন্য। প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে কিছু প্রাণ বিসর্জন দেওয়াটা কতটা লাভজনক বা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই মুহূর্তে লকডাউন চলছে। বাড়ি বসে থাকার দমবন্ধকর অবস্থা সহ্য করতে না পেরে অনেকে আত্মহত্যা করেছেন। অনেক জায়গাতে অপরাধীদের শিকার হয়েছেন নাগরিকরা, কোথাও নিজে নিজে ওষুধ খেতে গিয়েও প্রাণ গিয়েছে মানুষের - কিন্তু ভারতের মতো মৃত্যু মিছিল কোথাও দেখা যায়নি।
আর সেই কারণেই প্রশ্ন ওঠে, লকডাউনের আগে ঠিকমতো পরিকল্পনা করা হয়েছিল তো? হয়তো আরেকটু গোছানো থাকলে এতগুলি প্রাণের খেসারত দিতে হত না। মঙ্গলবারও মুম্বইয়ের বান্দ্রায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে চেয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন। তবে একটাই স্বস্তির লকজাউন ২.০-তে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবেন, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।