সংক্ষিপ্ত
শিশুদের মধ্যে হাম আর রুবেলার সংক্রমণ বাড়ছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারপরই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে অতিরিক্ত টিকার ডোজ দেওয়ার পরার্মশ দিয়েছে।
হামের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ৯মাস থেকে ৫ বছর বয়সী সমস্ত শিশুদের হাম ও রুবেলা ভ্যাকসিনের একটি অতিরিক্তি ডোজ দেওয়া যায় কিনা তা বিবেচনা করে দেখার আবেদন জানিয়েছেন। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্য়ান্ড প্রিভেনশন একদিকে বলেছে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই হামের টিকা দেওয়া রীতিমত কমে গেছে। যারফত গত বছর রেকর্ড পরিমাণ শিশু হামের টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে প্রায় ৪০ মিলিয়ন শিশু হামের টিকা নেয়নি।
ভারতে সম্প্রতি বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝড়খণ্ড, কেরল, মহারাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কিছু জেলায় হামের ভাইরাস ছড়াচ্ছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে মুম্বইতে হামের সংক্রমণ বাড়ছে। আর এই রোগের সঙ্গে শিশুদের রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে। শুধুমাত্র মুম্বইয়েই হামে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ১৮৪। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব মহারাষ্ট্র সরকারকে গোটা বিষয়টি নিয়ে সাবধান করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব পি অশোক বাবু বলেন,'এটাও স্পষ্ট যে এই ধরনের সমস্ত ভৌগলিক অঞ্চলে আক্রান্ত শিশুদের টিকা দেওয়া হয়নি। এবং যাদের টিকার প্রয়জোন তাদের যেন দ্রুত হাম আর রুবোলার টিকা দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।' তিনি আরও জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করার জন্য বুধবার একটি বৈঠকও করা হয়েছে। সেই বৈঠক থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা যথেষ্ট উদ্বেগের। আর সেই জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলকে হাম আর রুবেলা টিকার অতিরিক্ত ডোজ যাতে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থার করার পরামর্শ দিয়েছে।
ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামের রিপোর্টি উদ্দেশ্যে হাম ও রুবেলার জন্য বিশেষ ডোজকে অতিরিক্ত ডোজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ডোজটি ৯-১২ মাসে প্রথম, ১৬-২৪ মাসে দ্বিতীয়বার দেওয়া হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ৬মাস থেকে ৫ বছর বয়সী সব শিশুর সংখ্যা জেনে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত এলাকায় টিকা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। জেলা শাসকের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স তৈরির কথাও বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই টিকা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করাই এই প্রধান উদ্দেশ্য।
মাঝারি আর অপুষ্ঠিতে আক্রান্ত শিশুদের কাছে এই রোগটি মারাত্মক। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, কেস শনাক্তরণ ও ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে এই ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের শনাক্ত করার জন্য খুঁজে বার করতে হবে। পাশাপাশি শিশুদের স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে ভিটামিন-এ দিতে হবে। হামের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে সঠিক ও বাস্তব তথ্য জনগণের মধ্যে প্রচার করতে হবে। হামের সনাক্তকরণের ব্যবস্থাও করতে হবে। জ্বর হলে ও ম্যাকুলোপ্যাপুলার ফুসকুড়ি হলে তা সঠিক তথ্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
বুধবার আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্ট হবে, জানুন কী ভাবে হয় এই কঠিন পরীক্ষাটি