সংক্ষিপ্ত

৭ মে থেকে শুরু হচ্ছে উদ্বাসন
৬৪টি বিমানে ফেরান হবে ১৪৮০০ ভারতীয়কে
৩টি জাহাজও উদ্বাসনে মোতায়েন থাকবে
১২টি দেশ থেকে ফেরান হবে ভারতীদের

স্বাধীনতাত্তোর ভারতে সব থেকে বড় উদ্বাসন শুরু হতে চলেছে আগামী ৭ মে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশেই জারি করা হয়েছে লকডাউন। আর তাতেই সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা। আর সেই কারণেই আটকে পড়েছিলেন ১লক্ষ ৪৮ হাজারেরও বেশি ভারতীয়। বিশ্বের প্রায় ১২ টি দেশে আটকে রয়েছেন তাঁরা। লকডাউনের মধ্যেই আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ৬৪টি বিমান ও ৩টি জাহাজে করে ভারতীদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। 


আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে। শর্ত সাপেক্ষেই আটকে পড়া ভারতীয়দের বিমান অথবা জাহাজে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে। প্রত্যেক যাত্রীকেই আরোগ্য সেতু অ্য়াপ তাঁদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করতে হবে। পাশাপাশি দেশে ফেরার পর প্রত্যেক নাগরিককেই হাসপাতাল অথবা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণ না থাকলে তবেই সেই যাত্রীকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে। 

৭-১৩ মে পর্যন্ত এই উদ্বাসন চলবে। এয়ার ইন্ডিয়ার ৬৪টি  বিমান আরব আমীরশাহী, ইংল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর মালেশিয়াসহ ১২টি দেশে উড়ে যাবে। ভারতের ৩টি জাহাজ মালদ্বীভ ও পশ্চিম এশিয়ার দেশ থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিচ্ছে। 

মন্ত্রক সূত্রের খবর ১০টি উড়ান রওনা দেবে আরব আমীরসাহীর উদ্দেশ্যে। ৭টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যন্ডের  উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। সূত্রের খবর ৬৪টি বিমানের মধ্যে ১৫টি ছাড়বে কেরল থেকে, ১১টি নতুন দিল্লি ও তামিলনাড়ু থেকে। ৭টি ছাড়ূবে মহারাষ্ট্র থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিক এক সরকার কর্তা জানিয়েছেন, নাগরিকদের দেশে ফেরাতে আগামী ১৩ই মে-র পরেও উড়ান পরিষেবা জারি রাখার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। 

আরও পড়ুনঃ শ্রমিক ট্রেন নিয়ে যুযুধান কংগ্রেস ও বিজেপি, ভাড়ায় ৮৫ শতাংশ ভর্তুকি রেলের

আরও পড়ুনঃ মোদীর রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরার দাবি, অভিবাসী শ্রমিক ও পুলিশের সংঘর্ষ, দেখুন সেই ভিডিও ...

আরও পড়ুনঃ লকডাউনের ৪০ দিন পরেও সামাজিক দূরত্বে জোর, স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে গুজরাত ...

নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই উড়ান পরিষেবা দেওয়া হবে। প্রতিটি বিমানে ২০০ থেকে ৩০০ যাত্রী থাকবে। জ্বর, সর্দি ও কফের সমস্যা থাকলে যাত্রীদের সফরের অনুমতি দেওয়া হবে না।  একই নীতি কার্যকর হবে জাহাজের যাত্রীদের ক্ষেত্রেও। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গত মার্চ মাস থেকেই আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।