সংক্ষিপ্ত
উত্তর প্রদেশের বালিয়াতে গত ২৪ ঘণ্টায় বালিয়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে গত চার দিনে এই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮।
জুন মাসে যখন এই দেশে ভরা বর্ষার মরশুম তখনও উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় পুড়ছে দাবদহে। বেশ কিছু জেলায় এখনও পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলছে। এই অবস্থায় রীতিমত করুণ পরিণতির ছবে দেখা গিয়েছে উত্তর প্রদেশে। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত তাপপ্রবাহের কারণে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। পরিস্থিতি যে ক্রমশই জটিল থেকে জটিল তর হচ্ছে তা স্বীকার করে নিয়েছে যোগী প্রশাসন।
উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার অবস্থা সবথেকে খাবর। গত ২৪ ঘণ্টায় বালিয়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে গত চার দিনে এই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮। তাপপ্রবাহের কারণে গত ১৮ জন ৭৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বালিয়ার চিফ মেডিক্যাল অফিসার জয়ন্ত কুমার বলেছেন, যারা মারা গেছে তারা বিভিন্ন রোগে ভুগছিল। তিনি আরও বলেছেন প্রবল তাপপ্রবাহের কারণে অতিরিক্ত কুরাল আর ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার লক্ষৌ থেকে একটি প্রতিনিধি দলও এসেছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে রোগীদের রক্ত ও প্রস্রবের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার এদিন একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। সাধারণ জীবন, গবাদি পশু ও বন্যপ্রাণীর সুরক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। গোটা ঘটনা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে তাপপ্রবাহ অব্যাহত বিহারে। নীশিত কুমার এই বিষয়ে কিছু বলেননি। কিন্তু রাজ্যের পরিস্থিতি যে খারাপ হচ্ছে তা স্বীকার করে নিয়েছে প্রশাসন। বঙ্গে বর্ষা এসেছে। তাতেই আশার আলো দেখছে স্থানীয় প্রশাসন।
সোমবার দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছে। তারজেরে তাপপ্রবাহ থেকে স্বস্তি পেয়েছে স্থানীয়রা। তবে রাজধানী যে তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় তৈরি হয়েছে তা জানিয়েছে প্রশাসন।
তবে পশ্চিমবঙ্গও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু এই রাজ্যে বর্ষার প্রবেশ হয়েছে। তাতেই স্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা নদিয়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও পূর্বা বর্ধমানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাই আপাতত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই অবস্থায় বিহার ও উত্তর প্রদেশও বর্ষার প্রতীক্ষায় দিন গুণছে। চলতি বছর প্রবল গরম পড়েছিল গোটা দেশে। উত্তর ও পশ্চিমভারতে তাপপ্রবাহ ছিল প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা।