সংক্ষিপ্ত

  • দেশে করোনার শিকার একের পর এক প্রথম সারির যোদ্ধারা
  • এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৫০০ বেশি চিকিৎসক
  • করোনা ভালরকম থাবা বসিয়েছে সিআরপিএফ শিবিরে
  • গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের শিকার ৮৫ জন বিএসএফ জওয়ান

দেশে বেড়েই চলেছে সংক্রমণের ঘটনা। ইতিমধ্যে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের গণ্ডি ছুঁতে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২,৮০১ জন। তার মধ্যে সবচেয়ে চিন্তার বিষয়, আক্রান্ত হচ্ছে করোনা যুদ্ধে ফ্রন্ট লাইনে থাকা একের পর এক যোদ্ধা। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিড ১৯ রোগের আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৮ জন চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিক। এরসঙ্গে ফিল্ড ওয়ার্কার, ওয়ার্ড বয়, স্যানিটেশন কর্মীদের যোগ করলে সংখ্যাটা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। সামনে থেকে কাজ করতে গিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী, ল্যাব অ্যাটেনডেন্স, পিওন, লন্ড্রি এবং কিচেনের কর্মীরাও সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন প্রতিদিন। 

কেবল স্বাস্থ্যকর্মীরাই হন দেশের সেনা বাহিনীর উপরও বড়সড় হামলা চালিয়েছে মারণ ভাইরাস। রাজধানী দিল্লিতে একের পর এক সিআরপিএফ ব্যাটেলিয়ানের করোনা সংক্রমণের ঘটনা আতঙ্ক তৈরি করেছে আগেই। পূর্ব দিল্লির সিআরপিএফ ক্যাম্পে এভাবে জওয়ানরা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বে থাকা ২ জওয়ানের শরীরে সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। 

করোনার সৌজন্যে ফের ঘটে গেল মিরাকল, এবার বিহারের গ্রাম থেকেই দেখা মিলল এভারেস্টের

আরোগ্য সেতু নিয়ে রাহুলের পর প্রশ্ন হ্যাকারের, তথ্য ফাঁসের দাবি নস্যাৎ করল কেন্দ্র

লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হল ২৯ মে পর্যন্ত, ১৪৪ ধারা জারি থাকবে চলতি মাসের শেষপর্যন্ত

সিআরপিএফের ৫৫বি এবং ২৪৩ বি ব্যাটেলিয়নের ২ জওয়ানের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এই বিষয়টি সামনে আসতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ১ নম্বর কন্ট্রোল রুম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুই জওয়ানের সংস্পর্শে আসা অন্যান্য ব্যক্তিদের খুঁজে বার করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হচ্ছে। পাশাপাশি কন্ট্রোল রুমটিকে স্যানেটারাইজ করার কাজও শুরু হয়েছে। 

এদিকে গত রবিবারই সিআরপিএফের এক শীর্ষকর্তার সচিব করোনা আক্রান্ত হওয়ায় দিল্লিতে সিআরপিএফের হেডকোয়ার্টার ২ দিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হয়। এদিকে সিআরপিএফের মত করোনা সংক্রমণের শিকার বিএসএফ জওয়ানরাও। বুধবার বিএসএফের ৮৫ জন জওয়ানের করোনার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার ফলে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে  করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৪। এদের মধ্যে দিল্লি চাঁদনি মহল এবং জামিয়া মিলিয়ায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৬০ জন জওয়ানও রয়েছেন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে আসা কেন্দ্রীয় দলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৬ বিএসএফ জওয়ানের করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও ইতিমধ্যে পজিটিভ এসেছে। 

দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। রাজ্যটিতে এখনও পর্যন্ত বাহিনীর ৩৭ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এদিকে দিল্লিতে বাহিনীর এক হেডকনস্টেবল সংক্রমণের শিকার হওয়ার পর  দিল্লির সিজিও কমপ্লেক্সে থাকা বিএসএফের হেডকোয়ার্টারও  আংশিক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ২.৫ লক্ষ জওয়ান পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন থেকে দেশ পাহাড়ার কাজ করছেন।