সংক্ষিপ্ত
১৭ মে-র পর কী পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার
কেমনভাবে মোকাবিলা করা হবে পরিস্থিতি
কংগ্রেস জানতে চাইল মোদী সরকারের কাছে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে গত ২৫ মার্চ থেকেই লকডাউনের পথে হেঁটেছে গোটা দেশের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে গোটা দেশেই প্রায় স্তব্ধ জনজীবন। তিন দফায় ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে তালাবন্দি চলছে। তৃতীয় দফার লকডাউনে কিছু ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাও কী পর্যাপ্ত? তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী আবারও প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দিকে। এবার তিনি জানতে চাইলেন আগামী ১৭ মে শেষ হবে তৃতীয় দফার লকডাউন। কিন্তু তারপর কী করবে সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। মোটকথা কেন্দ্রীয় সরকারের আগামী পরিকল্পনাই জানতে চেয়েছেন সনিয়া গান্ধী।
সনিয়া গান্ধী বুধবার কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন দলের প্রথম সারির নেতৃত্বও। সেখানেই উঠে আলোচনা হয় করোনা সংকট ও বর্তমান দেশের পরিস্থিতি নিয়ে। নিজেদের পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজস্থান ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলত ও অমরিন্দর সিং। অশোক গহলতের কথায় করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের কারণে ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে রাজ্য। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রে উচিৎ অবিলম্বে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা।
কংগ্রেসের এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তিনি অভিযোগ করেন দিল্লির মসনদে যাঁরা বসে আছেন বাস্তব সম্পর্কে একদমই অবগত নন। করোনা আক্রান্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় কী ঘটে চলেছে তাও তাঁরা জানেন না। পাশাপাশি তিনি বলেন গোটা দেশের মতই কংগ্রেসও জানতে চায় লকডাউনের তৃতীয় পর্ব শেষ হওয়ার পরে কী হতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ আবারও মোদী সরকারকে নিশানা রাহুলের, এবার বললেন 'অন্যায্য' সিদ্ধান্ত
সনিয়া গান্ধীর কথার রেশ ধরেই কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন ১৭ মে-র পরে কী হবে এবং তা কীভাবে হবে তা সম্পর্কে কেন্দ্র যে পরিকল্পনা নিয়েছে তা অবিলম্বে ঘোষণা করুক। কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচক হিসেবে পরিচিত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন করোনাভাইরাস মোকাবিলার কারণে রাজ্যগুলির রক্তক্ষরণ অব্যাহত। কিন্তু তারপরেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও রকম অর্থবরাদ্দ করতে রাজি নয়। এদিনের বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীও।