সংক্ষিপ্ত

  • লকডাউনের ফলে দেশে কমে গিয়েছে দূষণের মাত্রা
  • এর আগে পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ থেকে দেখা গেছে হিমালয়
  • এবার বিহারের গ্রামে দেখা মিলল বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের
  • বাড়ির ছাদে উঠেই হিমালয়ের দর্শন পাচ্ছেন গ্রামের মানুষ

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। বন্ধ বাস, ট্রেন, বিমান পরিষেবা। যার ফলে কমে গিয়েছে দূষণের মাত্রা। খোলা মনে শ্বাস নিচ্ছে প্রকৃতি। আর এর জেরে গঙ্গা, যুমনার মত নদীরগুলির জল যেমন স্বচ্ছ হয়ে উঠেছে তেমনি বহু দূরের পাহাড়ও এখন কাছের বন্ধু হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে বাড়ির ছাদ থেকেই হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ দেখতে পেয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। এপ্রিল মাসের শুরুতে পঞ্জাবের জলন্ধর থেকেও পরিষ্কার দেখা গিয়েছিল হিমালয়। খালি চোখেই হিমাচলপ্রদেশের হিমালয়ের রেঞ্জ দেখে অবাক হয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। গত কয়েকদিন সেইসব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। এবার পালা বিহারের এক অখ্যাত গ্রামের। লকডাউনের আশীর্বাদে এবার পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্ঘ মাউন্ট এভারেস্টের দর্শন পেলেন সেখানকার বাসিন্দারা।

আবিশ্বাস্য শোনালেও এমন ঘটনাই ঘটেছে বিহারের নেপাল সীমান্ত লাগোয়া নেপাল সীমান্ত লাগোয়া সীতামাঢ়ি জেলার সিংহবাহিনী গ্রামে। ট্যুইটারে একটি তুষারাবৃত শৃঙ্গের ছবি পোস্ট করে সেটিকে এভারেস্ট বলে দাবি করেছেন  গ্রামের মুখিয়া রীতু জয়সওয়াল।

 

হিন্দিতে লেখা পোস্টে রীতু বলেন, “আজ আমরা আমাদের গ্রামের বাড়ির ছাদ থেকে মাউন্ট এভারেস্ট দেখতে পেলাম। প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরে আসছে। আগে মাঝেমধ্যে খুব বৃষ্টি হলে নেপালের পাহাড় দেখা যেত, কিন্তু আজ প্রথম এভারেস্টের দর্শন পেলাম।” এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পর থেকেই দাবানলের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। 

জলন্ধরের পর এবার সাহারানপুর থেকে হিমালয় দর্শন, ৩০ বছর পর দেখা গেল ঝকঝকে গঙ্গোত্রী

লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হল ২৯ মে পর্যন্ত, ১৪৪ ধারা জারি থাকবে চলতি মাসের শেষপর্যন্ত

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ হাজার ছাড়াল, মোবাইলে আরোগ্য সেতু না থাকলেই এবার শাস্তি

তবে ছবিতে দেখতে পাওয়া শৃঙ্গটি যে এভারেস্টই সেটা নিয়ে অনেকেই রীতুকে প্রশ্ন করেছেন। সেই জবাবও দিয়েছেন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “দূর থেকে হিমালয় দেখা গেলে সাধারণত সব থেকে উঁচু শৃঙ্গটাই তো দেখতে পাব। আর তা ছাড়া এভারেস্ট আমাদের গ্রামের উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থিত। এই শৃঙ্গটাও উত্তরপূর্বেই। ৮০-এর দশকে আমার স্বামী তাঁদের ছোটোবেলায় এভারেস্ট দেখেছেন। সে কারণেই আমি নিশ্চিত ওটাই এভারেস্ট।”

বিহারের সীতামাঢ়ি গ্রাম থেকে নেপালের মাউন্ট এভারেস্ট কয়েকশো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শোনা যায়, এই গ্রাম থেকে ১৯৮০-র দশকে নাকি এভারেস্ট দেখা যেত। কিন্তু দূষণের কারণে তার পর আর সেটা সম্ভব হয়নি। এখন এক নমাসেরও বেশি ধরে চলা  লকডাউনে কল-কারখানা, যানবাহন সব বন্ধ। তাই বাতাসে ধোঁয়া, ধূলোর পরিমাণ এতটাই কমে গিয়েছে যে, ফের এই গ্রামের মানুষ ঘরে বসেই এভারেস্টের দর্শন পাচ্ছেন।