বেসিক পে ৫১ হাজার! ৮ম বেতন কমিশন নিয়ে বিরাট আপডেট, কারা পাবেন কত টাকা?
- FB
- TW
- Linkdin
ট্রেড ইউনিয়নের সাথে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের পক্ষে সমর্থন জানান। বাজেট প্রস্তুতির কাজ চলছে, মোদী সরকার কমিশন গঠন করবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী, অর্থ সচিব এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় প্রধানদের উপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সাথে বাজেট-পূর্ব বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছিল। ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের উদ্বেগ দূর করার জন্য নতুন বেতন কমিশনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
এই বৈঠকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। এতে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। আসন্ন অর্থবছরের জন্য সরকারের বাজেট প্রস্তুতির মধ্যেই এই আশা দেখা দিয়েছে।
তবে, রাজ্যসভায় অর্থ মন্ত্রকের পূর্ববর্তী বিবৃতি একই ধরনের আশা ভঙ্গ করেছে। কারণ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে নতুন কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন গঠনের কোনও তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা নেই। এই বৈপরীত্য ১ কোটিরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে।
জাতীয় যৌথ পরামর্শদাতা কমিটির (NC-JCM) সচিব শিব গোপাল মিশ্র জানিয়েছেন যে পরবর্তী বেতন কমিশন ২.৮৬ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর প্রস্তাব করতে পারে। ১৮৬% বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হলে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন ১৮,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫১,৪৮০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের মাসিক পেনশন ৯,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫,৭৪০ টাকা হতে পারে।
এই প্রস্তাবিত বৃদ্ধি বেতন কমিশন ইস্যুতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জোরদার করেছে। এই প্রস্তাবিত ব্যবস্থা কর্মচারীর কার্যকারিতা এবং মুদ্রাস্ফীতির হার বিবেচনা করবে, যা বেতন ও পেনশন পরিবর্তনের জন্য আরও নমনীয় পদ্ধতি প্রদান করবে।
এই পদক্ষেপ গৃহীত হলে, এটি ঐতিহ্যবাহী বেতন কমিশন কাঠামোর দশ বছরের চক্র থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নির্দেশ করবে। পরিবর্তনশীল বেতন সমন্বয় ব্যবস্থা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সাথে কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ সামঞ্জস্য করতে সাহায্য করবে, অস্থির বাজার পরিস্থিতিতে বেতন উপযুক্ত থাকা নিশ্চিত করবে।
তবে, বর্তমানে অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকারের অবস্থান অস্পষ্ট। ট্রেড ইউনিয়নগুলি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য চাপ চালিয়ে যাওয়ায়, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে ইতিবাচক ঘোষণার আশা করছেন।