সংক্ষিপ্ত
নকশালিদের আত্মসমর্পণ: ছত্তিশগড়ে নকশাল এনকাউন্টারের পর শনিবার ব্যাপক আত্মসমর্পণ ঘটে। রাজ্যের সুকমা জেলায় ৯ জন কুখ্যাত নকশাল নেতা নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এই নকশালিদের উপর ৪৩ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। সরকার এই নকশালিদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য ২৫ হাজার টাকা করে সাহায্য প্রদান করেছে। গত বছর সর্বাধিক ৭৯২ জন নকশালি বস্তর জেলায় আত্মসমর্পণ করেছিল।
এসপি কিরণ চৌহান আত্মসমর্পণ সম্পর্কে তথ্য দিয়ে বলেন, যে নকশাল নেতারা অস্ত্র জমা দিয়েছে তাদের মধ্যে দুইজন মহিলা নকশালিও রয়েছেন। এই নকশালিরা 'নিয়াড নেল্লানার' অর্থাৎ 'আপকা আচ্ছা গাঁও' योजना দ্বারাও প্রভাবিত ছিলেন।
কোন নকশালিরা আত্মসমর্পণ করেছে
- রনসাই ওরফে মনোজ ওরফে ওয়াম বুস্কা- ৮ লক্ষ টাকা পুরস্কারপ্রাপ্ত
- প্রদীপ ওরফে রাবওয়া রাকেশ- ৮ লক্ষ টাকা পুরস্কারপ্রাপ্ত
- কওয়ানি সোনা- ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারপ্রাপ্ত
- নবীন ওরফে সোদি মাঙ্গা- ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারপ্রাপ্ত
- মাড়কম জোগা-৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারপ্রাপ্ত
- মুচাকি দেবা- ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারপ্রাপ্ত
- মাড়বি সুক্কি- ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারপ্রাপ্ত
- কার্ত্তম ভেল্লি- ২ লক্ষ টাকা পুরস্কারপ্রাপ্ত
- মাড়বি রাকেশ- ২ লক্ষ টাকা পুরস্কারপ্রাপ্ত
৮-৮ লক্ষ টাকা পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই নকশালিও আত্মসমর্পণ করেছে
আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের মধ্যে তাদের প্লাটুন সংখ্যা ২৪ এর কমান্ডার রনসাই ওরফে ওয়াম বুস্কা এবং পিএলজিএ ব্যাটালিয়ন সংখ্যা ১ এর কোম্পানি উইং এর সদস্য প্রদীপ ওরফে রাবওয়া রাকেশও ছিলেন। দুই নকশাল নেতার উপর ৮-৮ লক্ষ টাকা পুরস্কার ছিল। বুস্কার বয়স ৩৪ বছর এবং রাকেশের বয়স মাত্র ২০ বছর। নকশাল কমান্ডার রনসাই বেশ কয়েকটি বড় হামলায় জড়িত ছিলেন। নারায়ণপুর জেলার ঝারা উপত্যকায় ২০০৭ সালে নকশাল হামলায় সাত পুলিশ সদস্য নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। বিজাপুর জেলার রানিবোদলিতে একই বছর হামলায় ৫৫ জন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। ২০১৭ সালে বুরকাপালে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলায় ২৫ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন এবং ২০২০ সালে মিনপা হামলায় ১৭ জন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন।