সংক্ষিপ্ত
- দুই দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারীর সংখ্যা সম্প্রতি প্রকাশ পেল
- নয়াদিল্লিতে, দুই দেশের মধ্য়ে কথোপকথনে এই ঘোষণা হয়েছে
- অবৈধভাবে প্রবেশ ও বসবাস করার জন্য, গ্রেপ্তার করা হয়েছে
- ইতিমধ্য়েই তাদের উপর আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে
সম্প্রতি এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ তার অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী নাগরিকদের সংখ্যা জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বাংলাদেশের (বিজিবি) মেজর-জেনারেল শফেনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার ঢাকায় জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে প্রায় ১,০০০ বাংলাদেশি ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের জন্য বাংলাদেশে আটক হয়েছিল এবং বাংলাদেশ সরকার তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম শুরু করেছে। নয়াদিল্লিতে ২০১৯ সালের ২৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বর, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) মেজর-জেনারেল এবং বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মেজর-জেনারেল-র মধ্যে আলোচনার পরে এই ঘোষণা উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন, সাভারকরের শারীরিক সম্পর্ক ছিল গডসের সঙ্গে, বিতর্কিত পুস্তিকায় চাঞ্চল্যকর দাবি
মেজর জেনারেল শফেনুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ৯৯৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্য়ে ১৩৫ জন শিশু, ২৫৮ জন মহিলা এবং ৬০৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এবং তাদের মধ্যে ৩১২ জনকে নভেম্বর মাসে এবং ১৩৩ জনকে ডিসেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ভারতে যাওয়ার সময় কিংবা দেশে ফিরে আসার সময় তাদেরকে সীমান্তে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছিল। অন্য দেশে অবৈধভাবে প্রবেশ এবং বেআইনিভাবে থাকার জন্য তাদের উপর আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে রাখা হয়েছে অথবা জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, একাধিক নয়, অভিযোগ থেকে অনুসন্ধান, একটিই নতুন হেল্পলাইন নম্বর চালু করল রেল
সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা গোহর রিজভী কলকাতায় এসে জানিয়েছিলেন যে, নাগরিকরা ভারতে অবৈধভাবে অবস্থান করলে, বাংলাদেশ সরকার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। তবে প্রমাণ করতে হবে যে ব্যক্তিটি একজন বাংলাদেশী নাগরিক। অপরদিকে বাংলাদেশের তরফে, অবৈধভাবে বসবাসকারী ৯৯ জন ভারতীয়ের তালিকাও জমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬২ জনকে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বাকিদেরকে আটক করে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মেজর জেনারেল ইসলাম আরও জানিয়েছেন, সীমান্তে গুলিবর্ষণের ফলে কমপক্ষে ৩৫ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন।