সংক্ষিপ্ত
একটি ভাইরাল ভিডিওতে ওই রিপোর্টারকে বলতে শোনা গিয়েছে হাজিরা দেওয়ার পর থেকে আর স্কুলের শিক্ষকদের দেখতে পাওয়া যায় না। তিনি বলেছেন, স্কুলের শিক্ষকরা হাজিরা নিয়ে স্কুল থেকে উধাও হয়ে যান। সরফরাজের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হচ্ছে।
বড় বড় সাংবাদিকরাও পারেননি এই সত্যিটাকে সবার সামনে নিয়ে আসতে। ঠিক সেই কাজটাই করে দেখাল ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার ১২ বছর বয়সী এক ছোট্ট রিপোর্টার। এক রিপোর্টে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা সামনে নিয়ে এল সে। গোড্ডা জেলার মহাগামা ব্লকের বেঘিয়াচকের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশৃঙ্খলা নিয়ে একটি দুর্দান্ত গ্রাউন্ড রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সে আগে একই স্কুলে পড়ত। ১২ বছরের সাংবাদিক সরফরাজ রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে স্কুলের দুর্দশা মানুষের সামনে তুলে ধরেন।
একটি ভাইরাল ভিডিওতে ওই রিপোর্টারকে বলতে শোনা গিয়েছে হাজিরা দেওয়ার পর থেকে আর স্কুলের শিক্ষকদের দেখতে পাওয়া যায় না। তিনি বলেছেন, স্কুলের শিক্ষকরা হাজিরা নিয়ে স্কুল থেকে উধাও হয়ে যান। সরফরাজের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হচ্ছে।
একই সঙ্গে এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর শিক্ষা বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষকরা নাকি তার মাকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে সরফরাজ। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জেলা প্রশাসন। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সাধারণ মানুষ সরকারের সমালোচনা শুরু করেছে।
প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি মাইক নিয়ে সরফরাজ ওই স্কুলের প্রতিটি খামতি ও বেহাল অবস্থাকে তুলে ধরেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কোল্ড ড্রিঙ্কের খালি বোতলের মাইক বানিয়েছেন সরফরাজ। এছাড়াও প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। সরফরাজ দেখিয়েছেন স্কুলে বড় বড় ঝোপ। টয়লেট ভালো নয়। বিদ্যালয়ে প্রচুর আবর্জনা রয়েছে। নলকূপ ভেঙে গেছে। শ্রেণীকক্ষে পশুখাদ্য রাখা হয়েছে। যেখানে মিড-ডে মিল তৈরি হয় সেখানে ময়লা পড়ে রয়েছে। সরফরাজ বলছেন, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর স্কুল বদলে গেছে। সরফরাজ জানিয়েছেন, তিনিও আগে এই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তার ছোট ভাইও একই স্কুলে পড়ে। স্কুল ব্যবস্থার যাতে উন্নতি হয় তিনি এই ভিডিওটি করেছেন।