সংক্ষিপ্ত

নাভিপটের নিহত শিশুর বাবা রাজশেখর তার মাত্র চার বছরের মেয়ে রুশিতাকে নিয়ে সুপার মার্কেটে গিয়েছিলেন মুদির জিনিস কিনতে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যাচ্ছে শিশুটি সুপারমার্কেটের একটি ফ্রিজ খোলার চেষ্টা করছে

 

মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল তেলাঙ্গনা। নিজামাবাদের নন্দীপেটের একটি সুপারমার্কেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় মারা গেছে। নিহত শিশুটির বয়স মাত্র চার। বাবার সঙ্গে মাসের বাজার করতে সুপার মার্কেটে এসেছিল শিশুটি। কিন্তু বাড়ি ফিরল তার নিথর দেহ।

নাভিপটের নিহত শিশুর বাবা রাজশেখর তার মাত্র চার বছরের মেয়ে রুশিতাকে নিয়ে সুপার মার্কেটে গিয়েছিলেন মুদির জিনিস কিনতে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যাচ্ছে শিশুটি সুপারমার্কেটের একটি ফ্রিজ খোলার চেষ্টা করছে। সেই সময়ই তড়িদাহত হয়। মাত্র কয়েক সেকেন্ড যন্ত্রণায় ছটফট করে। তারপরই ছোট্ট রুশিতা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এই মর্মান্তিক ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে নিহত মেয়েটির বাবা একটি ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম বার করছিলেন। সেই সময়ই তাঁর মেয়ে রুশিতা পাশেরই একটা ফ্রিজ খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করছিল। সেই ফ্রিজে ছিল প্রচুর চকোলেট। কিন্তু ফ্রিজের দরজা ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রুশিতার বাবা সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মেয়েটির বাবা-মা এবং অন্যান্য আত্মীয়রা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। সুপার মার্কেট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। ছোট্ট মেয়েটির দেহ নিয়ে সুপার মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে সামিল হয়। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সুপার মার্কেটের মত একটি ব়ড় বিক্রয় স্থানে কী করে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ সুপার মার্কেটগুলিতে ক্রেতাদের  প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করতে হয়। তাই প্রয়োজনে তারা ফ্রিজে হাত দিতে হয়। সেখানে কতৃপক্ষ একটু সচেতন থাকলে এজাতীয় দুর্ঘটনা কখনই ঘটনা না। অভিমত স্থানীয়দের।