সংক্ষিপ্ত

  • গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা মুক্ত হয়েছেন ১০৭৪ জন
  • দেশে সুস্থ হওয়ার হার বেড়ে বয়েছে ২৭.৫২ শতাংশ
  • তবে করোনা এবার কাড়ল পুলিশ আধিকারিকের প্রাণ
  • করোনা সংক্রমণের শিকার দিল্লির একাধিক সব্জি বিক্রেতা

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় সোমবার থেকে দেশে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার লকডাউন। এবার ১৪দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। দেশে করোনা সংক্রমণ আটকাতে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করে চিলিছিন চিকিৎসক ও পুলিশকর্মীরা। আর এই করোনা যুদ্ধে একের পর এক সংক্রমণের শিকারও হচ্ছেন তাঁরা। সোমবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দেশের আরও এক পুলিশ আধিকারিকের। কোভিড ১৯ রোগে মারা গেলেন ৫৮ বছরের এক অ্যাসিস্টেন্ট সাব-ইন্সপেক্টর। ওই পুলিশ আধিকারিকের চিকিৎসা চলছিল পুনার ভারতী হাসপাতালে। গত ১২দিন ধরে তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। মৃত পুলিশ আধিকারিক হাইপারটেনশেনর পাশাপাশি ওবেসিটিতেও ভুগছিলেন।

 

এদিকে সোমবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। সবাইকে পেছনে ফেলে এখনও এগিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৬৭৮ জন। এর মধ্যে কেবল বাণিজ্য নগরী মুম্বইতেই সংক্রমমের শিকার ৪৪১ জন। ফলে মুম্বইতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮,৬১৩। গোটা রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৫৪৮।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় হরিয়ানায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১ জন। এদের মধ্যে ১১ জন ঝাঝরের বাসিন্দা। এঁদের মধ্যে ৮ জন সব্জি বিক্রেতা বলে জানা যাচ্ছে।  দিল্লিতে আজাদ মান্ডিতে তাঁদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। ফলে এই সব্জি বাজারে আরও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে চার হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৪২৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জন। এই অবস্থায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন তুলে দিতে চাইলেও সেই পথে হাঁটতে রাজি নন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। রাজধানীতে লকডাউনের নিয়ম নূন্যতম শিথিল করার পক্ষপাতী তিনি।

করোনার সঙ্গেই এবার করতে হবে সংসার, লকডাউনে থাকা রাজধানীকে সচল করতে দাওয়াই কেজরির

আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লক্ষ, বছরের শেষেই আসছে করোনা ভ্যাকসিন, আশ্বাস দিলেন ট্রাম্প

লকডাউনের দেশে রেশনের থেকেও লম্বা লাইল মদের দোকানে, সামাজিক দূরত্ব না মেনেই জমায়েত

 দেশে ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন চললেও বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও নিজেদের রাজ্যে সেই ছাড় দেবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। ফলে রাজ্যটিতে ১৭ মে পর্যন্ত পুরোপুরি লকডাউন চলবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। 

তবে এসবের মধ্যেই আশার খবর শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে করোনা আক্রান্তদের সেরে ওঠার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.৫২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১০৭৪ জন। ফলে দেশে করোনাকে জয় করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১১,৭০৬ জন।