সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনের সময়ে জরুরি প্রয়োজনের জন্য় খোলা হয়েছিল কন্ট্রোল রুম
- সেই কন্ট্রোলরুমে ফোন করে গরম সিঙ্গারা চেয়ে বসলেন এক ব্য়ক্তি
- তাঁর বাড়িতে সেই সিঙ্গারা নিয়ে যাওয়া হল, কিন্তু আবারও তিনি চাইলেন সিঙ্গারা
- এবার শাস্তি হিসেবে তাঁকে দিয়ে পাড়ার নর্দমা পরিষ্কার করানো হল
আবার খবরে যোগীরাজ্য়। তবে এবার অবশ্য় পরিযায়ী শ্রমিকদের গায়ে কীটনাশক স্প্রে করে দেওয়ার মতো মারাত্মক কিছু নয়। তবে যথেষ্ট অভিনব।
লকডাউনের সময়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলায়। কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনেই সেখানে ফোন করার কথা। কিন্তু ক-দিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল কিছু লোক ফোন করে অদ্ভুত কিছু আবদার করছেন। বিপদ আপদে যেখানে ফোন করার কথা, সেখানে একজন ফোন করে তো সিঙ্গারা চেয়ে বসলেন। তাঁকে সিঙ্গারা পাঠানোও হল। কিন্তু তাতে করে তিনি পেয়ে বসলেন। আবারও একদিন ফোন করে গরম সিঙ্গারা চেয়ে বসলেন। তাঁকে সতর্ক করা হল। কিন্তু কাজ হল না। বারংবার ফোনে সিঙ্গারা চাইতেই লাগলেন। অনেকবার সতর্ক করার পরও যখন এই ধরনের বেয়াদপ আবদার থামানো গেল না তখন খবর গেল খোদ জেলাশাসকের কাছে। জেলাশাসক এক অদ্ভুত শাস্তির ব্য়বস্থা করলেন। কী সেই শাস্তি? ওই ব্য়ক্তির খোঁজ করে তাঁকে দিয়ে পাড়ার ড্রেন পরিষ্কার করানো হল। সিঙ্গারা চেয়ে বিপাকে পড়লেন তিনি। রীতিমতো পাঁক ঘেটে কাদা-ময়লা তুললে হল তাঁকে।
রামপুরের জেলাশাসক জানান-- ওই ব্য়ক্তি হেল্পলাইনে সিঙ্গারা চাওয়ার পর একবার কিন্তু তাঁর বাড়িতে সিঙ্গারা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও তাঁর আশ মেটেনি। আবারও তিনি জরুরি পরিষেবার নম্বরে ফোন করে সিঙ্গারা চেয়ে পাঠান। তখনই আমরা ঠিক করি, এই ফাজলামোর জন্য় উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া দরকার।