সংক্ষিপ্ত
ভারতীয় জলসীমায় আটক করা হল একটি পাক নৌকা। যাতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক। ওই নৌকার ১০ জন নাবিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মিলেছে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র।
২৬/১১ র ঘা এখনও দগদগে ভারতের বুকে। সেবার যেভাবে পাকিস্তান থেকে এক অজ্ঞাত নৌকো এসে ভিড়েছিলো আরব সাগরের তীরে তারপর ভারতবর্ষে ঢুকে যেভাবে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছিল, তা দেখে থেকেই সতর্ক হয়ে যায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ভারতবর্ষের কোনো তীরে যাতে কোনোরকম কোনো অজ্ঞাত নৌকা এসে ভিড়তে না পারে তার জন্য তৈরী হয় কড়া নিরাপত্তা বলয়। এবার তাদেরই চোখে পড়লো ফের এক অজ্ঞাত পাক নৌকা। নজরে পড়তেই ভারতীয় জলসীমায় আটক করা হয় ওই নৌকোকে। তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায় যে ওই নৌকায় আছে প্রচুর পরিমানে মাদক।ইতিমধ্যেই পুলিশের তৎপরতায় ওই নৌকায় থাকা ১০ জন নাবিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর শুধু মাদকই নয় ওই নৌকা থেকে মিলেছে বেশ কিছু অস্ত্রও।
ভারতীয় জলসীমায় যে পাকিস্তানের ওই নৌকা ঢুকছে সেই খবর প্রথম পেয়েছিল গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। এর পর সেই খবরের ভিত্তিতে যৌথ ভাবে অভিযানে নামে এটিএস এবং ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। আল সোহেলি নামে ওই নৌকাটি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪০ কিলোগ্রাম মাদক। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। নৌকায় লুকোনো ছিল ওই মাদক। এ ছাড়াও নৌকা থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্রশস্ত্র এবং কার্তুজও।
উপকূল রক্ষী বাহিনীর সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তের জন্য দ্বারকার সমুদ্র তীরবর্তী শহর ওখায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে নৌকাটি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃতদের। গত বছর ২০২১ সালে গুজরাতের কছ এলাকা থেকে এমনই একটি পাকিস্তানি নৌকায় পাওয়া যায় প্রায় ৩ হাজার কিলোগ্রাম মাদক। যার বাজারমূল্য ছিল ২১ হাজার কোটি টাকা।সম্প্রতি পাঞ্জাব সীমান্তেও ড্রোনে করে মাদক পাচারের ঘটনায় এনআইএ সন্দেহ করেছিল বেশ কিছু পাকিস্তানি গোষ্ঠীকে। পর পর এমন মাদক পাচার পন্ড করার ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে প্রতিরক্ষা বাহিনীর তৎপরতায় আমরা দেশের মধ্যে এতো শান্তিতে বসবাস করতে পারছি।