সংক্ষিপ্ত
এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ভোজপুর জেলার ধরহর হনুমানটোলা এলাকায়।
মাত্র ১২ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ এবং তারপর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল নিজের কাকার বিরুদ্ধে। এরপর সেই অভিযুক্তকে গণধোলাই দিলেন গ্রামবাসীরা।
তারপর তাঁকে সোজা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠছে, ওই ব্যক্তি কিশোরীকে খুনের পর একটি খাটিয়ার সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন। পরিবারের লোকজন খুঁজতে খুঁজতে তাঁর বাড়িতে যান এবং কিশোরীর দেহটি দেখতে পান তারা।
এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ভোজপুর জেলার ধরহর হনুমানটোলা এলাকায়। ভোজপুরের এসপি রাজ জানিয়েছেন, সোমবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়দের কথায়, রাতে কিছু টাকা ধার করতে কাকার বাড়িতে গেছিল সেই কিশোরী। তখনই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আর ধর্ষণের পর কিশোরীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় বলেও দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ বাড়ি না ফেরায় কিশোরীকে খুঁজতে বেরোন পরিবারের লোকজন। তারপর কাকার বাড়িতে গিয়ে খাটিয়ার সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান মেয়েকে। গ্রামে খবরটি জানাজানি হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর সকলে অভিযুক্তের বাড়িতে জড়ো হন এবং অভিযুক্তকে বাড়িতেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারা অভিযুক্তকে উদ্ধার করে এরপর থানায় নিয়ে যায়। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, এসপি নিজেও ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানিয়েছেন, কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, এই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।