সংক্ষিপ্ত

মোবাইলের ফ্ল্যাশবাল্ব, মোমবাতি আর টর্চের আলোয় এক মায়ের সন্তান প্রসবের কাহিনি এখন নজর কেরেছে সকলের। ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রেদেশের। সেখানের নার্সিপটনম গভর্মেন্ট হাসপাতালে মোমবাতি আর টর্চের আলোয় ভূমিষ্ঠ হল সেই সদ্যজাত। লোডশেডং বা পাওয়ার কাটের জন্যই এই  পদ্ধতি অবলম্বনে সন্তানের জন্ম দিলেন সেই মহিলা।
 

অন্ধ্রপ্রদেশের এক অন্য কাহিনি। পথে-ঘাটে বা চলন্ত ট্রেনে বা বিমানের মধ্যে সন্তান প্রসবের কাহিনি বিভিন্ন কাহিনি বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে। তবে আপনি কী কখনও শুনেছেন যে, মোমবাতি বা মোবাইলের আলোয় বা টর্চের ক্ষীণ আলোয় কোনও মা তাঁর সন্তানের মুখ দেখল...শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবের মাটিতে ঘটেছে এইরকমই এক অভিনব ঘটনা। সত্যি সত্যিই মোবাইলের ফ্ল্যাশবাল্ব, মোমবাতি আর টর্চের আলোয় এক মায়ের সন্তান প্রসবের কাহিনি এখন নজর কেরেছে সকলের। ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রেদেশের। সেখানের নার্সিপটনম গভর্মেন্ট হাসপাতালে মোমবাতি আর টর্চের আলোয় ভূমিষ্ঠ হল সেই সদ্যজাত। লোডশেডং বা পাওয়ার কাটের জন্যই এই  পদ্ধতি অবলম্বনে সন্তানের জন্ম দিলেন সেই মহিলা। উল্লেখ্য, লোডশেডিং-এর সময় জেনারেটরও বিকল ছিল। 

সত্যি! অদ্ভুত উপায়েই শেষ পর্যন্ত প্রসব যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। আজকের দিনে জন্মের পরই বাচ্চারা মোবাইল দেখতে শিখে যায়, এই কথা সকলের মুখে মুখে। কিন্তু মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইটেই পৃথিবীর মাটিতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার ঘটনা বোধয় খুবই বিরল। বুধবার রাত ১১ টা নাগাদ প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে হাাসপাতালে ভর্তি হন সেই গর্ভধারী মহিলা। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর পরই সেখানে কারেন্ট চলে যায়। সেই সঙ্গে জেনারেটরও বিকল থাকায় আর কোনও  উপায় না দেখে হাাসপাতালের চিকিৎসকরা মোবাইলের আলোয় ভরসা রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত কিন্তু চিকিৎসকদের ভরসাই জিতে গেল। প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ভর্তি হওয়াা সেই মহিলর কোলে সদ্যজাতকে তুলে দিয়ে মাতৃত্বের সুখ দিয়েছেন নার্সিপটনম গভর্মেন্ট হাসপাতালের চিকিৎসকরা। 

আরও পড়ুন-এ এক অন্য কাহিনি, মাতৃত্বের স্বাদ পেতে হাইকোর্টের বিচারকের দ্বারস্থ এক আসামীর স্ত্রী

আরও পড়ুন-প্রতিবাদের মাশুল দিতে হল পোশাক খুলে, মধ্যপ্রদেশের জেলে বিক্ষোভকারীদের অন্তর্বাস পরা ছবি ভাইরাল

আরও পড়ুন-অভিনব প্রতিবাদ, নবদম্পতিকে পেট্রল ডিজেলের ক্যান উপহার বন্ধুদের

অন্ধ্রপ্রদেশের লোডশেডিং-র ঘটনা খুবই চেনা চিত্র। এই রাজ্যে কারেন্টের খামতি থাকায় প্রায়ই লোডশেডিং হয়ে যায়। বুধবার সেই রকমই কঠিন পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছিলেন সেই গর্ভধারী মহিলা। হাসপাতলে উপস্থিত সকলেও এই ঘটনা দেখে একবারে হতভম্ব। চিকিৎসকদের ভগবানের রূপ বলা হয়ে থাকে। বুধবার রাতে প্রসব যন্ত্রনা থেকে সেই মহিলাকে মুক্তি দিয়ে সেই কথা ফের একবার প্রমান করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের নার্সিপটনম গভর্মেন্ট হাসপাতালের চিকিৎসকরা।  একদিকে যখন মোবাইলের আলোয় মাতৃত্বের স্বাদ পেলেন এক মহিলা, তখন অন্যদিকে রাজস্থানের এক বিবাহিত মহিলা মাতৃত্বের সুখ পেতে তাঁর আসামী স্বামীকে প্যারোলে ১৫ দিনের জন্য বাড়ি ফেরার আর্জি জানিয়েছেন উচ্চ আদালতে।