আধার কার্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বড় নির্দেশ, এবার কী হবে নাগরিকত্বের প্রমাণ
বিহারের ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা মামলায় বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দিল নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ কখনই আধার কার্ড হতে পারে না।

আধার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য
বিহারের ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা মামলায় বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দিল নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ কখনই আধার কার্ড হতে পারে না। পাশাপাশি আধার কার্ডকে নাগরিকত্বের প্রমাণ সিলমহর দেওয়ার জন্য কেন জোরাজুরি করা হচ্ছে - তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও আগের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে আধারকার্ড গ্রহণ করতে পারে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু একমাত্র প্রমাণপত্র হতে পারে না বলেও মঙ্গলবার স্পষ্ট করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
'সুপ্রিম' পর্যবেক্ষণ
আধার কার্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ হল, আইন অনুসারে আধারের মর্যাদা নির্ধারিত হয়েছে। সেই মর্যাদা আর বৃদ্ধি করা কখনই সম্ভব নয়। এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট আধার নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। বলেছে, 'নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য অনেক নথির মধ্যে আধার একটি নথি হতে পারে।' সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, 'আধার আইনে আধারকে যে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে তা বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। পুত্তস্বামী নির্দেশে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ আধার নিয়ে যে কথা বলেছে, তার অন্যথাও করতে পারে না। '
আধার আইনের ধারা
আধার আইনের ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, আধার নম্বর বা অথেনটিকেশন ধারাকে নাগরিকত্ব বা বাসস্থলের প্রমাণ হবে না। অন্য দিকে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, আধার নম্বর কারও নাগরিকত্বের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারে না। সুপ্রিম কোর্ট আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে আধারকে তারা কখনই নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে সিলমহর দেবে না।
বিহারের SIR মামলা
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা বা SIR মামলা উঠেছিল। সেখানেই ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন ভোটাররা।
নির্বাচন কমিশনের সওয়াল
এদিন সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন কমিশনের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। তিনি বলেন, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আধারকে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিহারের কিছু জেলায় আধারের সম্পৃক্তি পৌঁছেছে ১৪০তে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার একাধিকবার অভিযোগ করেছে বহু বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা অবৈধ ভাবে এদেশে প্রবেশ করে আধারে কার্ড তৈরি করেছে।

